বিপিএল থেকে রংপুর রাইডার্সের বিদায়, কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেল খুলনা
বিপিএল থেকে রংপুর রাইডার্সের বিদায়, কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেল খুলনা
বিপিএল থেকে রংপুর রাইডার্সের বিদায়, কোয়ালিফায়ারের টিকিট পেল খুলনা
টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিপিএল থেকে রংপুর রাইডার্সের বিদায়। নুরুল হাসান সোহানের দলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের টিকিট নিশ্চিত করল খুলনা টাইগার্স। ২০২৫ বিপিএলের প্রথম ৮ ম্যাচের সবক'টিতেই জিতে রংপুর, টানা জয়ের ফলে লম্বা সময় পয়েন্ট তালিকার একে থাকলেও শেষমেশ তিনে নেমে যাওয়া রংপুর রাইডার্সকে এলিমিনেটর থেকে নিতে হয়েছে বিদায়। আন্দ্রে রাসেল, জেমস ভিন্স, টিম ডেভিডকে সকালে ঢাকায় উড়িয়ে এনেও জিততে পারেনি দলটি।
সকালে আন্দ্রে রাসেল, জেমস ভিন্স, টিম ডেভিড বাংলাদেশে পা রেখে দুপুরে নামেন এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে। প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্সেরও প্রায় একই অবস্থা, প্লেয়িং ইলেভেনে নতুন দুই মুখ উইন্ডিজের শিমরন হেটমায়ের, জেসন হোল্ডার। তবে এলিমিনেটর রাঙাতে ব্যর্থ হন ওপেন করতে নামা জেমস ভিন্স। নাসুম আহমেদের শিকার হওয়ার আগে ৭ বলে রান করতে পারেন কেবল ১। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার হন ডাক। শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। যা বিপিএল প্লে-অফ ইতিহাসেরই সবচেয়ে কম সংগ্রহ।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করতে মিরাজদের সামনে ১২০ বলে ৮৬ রানের সহজ লক্ষ্য। কিন্তু ওপেন করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ কোনো রান করার আগেই আকিফ জাভেদের ডেলিভারিতে বোল্ড। এরপর মোহাম্মদ নাইম সঙ্গী হিসাবে পান তিনে নামা অ্যালেক্স রসকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই খুলনার রান ৫১। বাকি ১৪ ওভারে দরকার কেবল ৩৫ রানের।
নাইম-রস কোনো বিপদ ছাড়াই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ৫৮ বল বাকি থাকতেই খুলনা নিশ্চিত করল ৯ উইকেটের বড় জয়। ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার নাইম শেখ। অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২৯।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয় রংপুর রাইডার্স। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে রংপুর রান পায় কেবল ১৯। যা এবারের বিপিএলে পাওয়ার প্লেতে করা কোনো দলের সর্বনিম্ন। রংপুরের আরেক বিদেশি টিম ডেভিডের উইকেটও তুলে নেন নাসুম। ৯ বলের ইনিংসে ১ বাউন্ডারিতে ৭ রান করেন ডেভিড। আন্দ্রে রাসেলও দলকে স্বস্তি দিতে পারেননি। মোহাম্মদ নওয়াজের ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ বল খেলে রান করেন ৪।
রংপুর রাইডার্সের ব্যাটারদের মধ্যে দুই অংকের রানে পৌঁছাতে পারেন কেবল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আর শেষ ব্যাটার আকিফ জাভেদ। খুলনার দুই স্পিনারের কাছেই যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করে বসে রংপুরের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। সমান ৩ উইকেট পান নাসুম আহমেদও। ৪ ওভারে ১ মেডেন ও ৩ উইকেট পাওয়া নাসুম রান দেন ১৬।
১৬.৫ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি রংপুর রাইডার্সের ব্যাটাররা। আর তাতেই অলআউট মাত্র ৮৫ রানে। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন শেষ ব্যাটার আকিফ জাভেদ।