চ্যাপম্যানের জবাব ছিল না পাকিস্তানের কাছে
চ্যাপম্যানের জবাব ছিল না পাকিস্তানের কাছে
চ্যাপম্যানের জবাব ছিল না পাকিস্তানের কাছে
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায় অবস্থান করছে।
পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার আশানুরূপ শুরু করলেও, ফিরেছেন খুব কাছাকাছি সময়ে। টিম সেইফার্ট ২১ রানে ফেরার পরের ওভারে টিম রবিনসনের ২৮ রানের বিদায় দেখতে হয়েছে কিউইদের।
নিউজিল্যান্ড পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে, আর তখন পাকিস্তানের পক্ষে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা চোখে পড়ে। অবশ্য সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন মার্ক চ্যাপম্যান। ডিন ফক্সক্রফটের সাথে গড়ে তোলেন জয়ের ভিত।
এই জুটি মূলত নিউজিল্যান্ডের পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। যেখানে বড় নাম চ্যাপম্যান। তার ৪২ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৯ টি চার ও ৪ টি ছয়ের মার। এর আগে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান ফক্সক্রফট, ২৯ বলে ৩১ রান করে।
তখন জিততে আর কেবল ৯ রান প্রয়োজন। যা জেমস নিশামকে সাথে নিয়ে নিরাপদে পাড়ি দিয়েছেন চ্যাপম্যান।
পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে আব্বাস আফ্রিদি ২ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের হয়ে বাবর আজম ও সাইম আইয়ুবের শুরুটা বেশ ভালো হয়েছে৷ তবে দুজনেই ত্রিশোর্ধ রান করেই ফিরেছেন। আইয়ুব ৩২ রানে, বাবর ৩৭ রানে।
তিনে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে, তার রান যখন ২২ তখন। উসমান খানের ব্যাটে আসেনি ৫ এর বেশি রান। তখন ১৩তম ওভারের খেলা চলছিল, পাকিস্তানের রান ১০৪। এই অংশে এসে ইরফান খান ও শাদাব খান মিলে দায়িত্ব নেন।
এই দুই ব্যাটারের দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা পাকিস্তানকে লড়াই করার রসদ এনে দেয়। শাদাব যখন ফিরেছেন, তার ঝুলিতে ২০ বলে ৪১ রানের এক ইনিংস। অন্যদিকে ইরফান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ৩০ রান করে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ইশ সোধি নিয়েছেন ২ টি উইকেট।