হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিক, ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের আধিপত্য
- 1
ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেবের পাশে মেহেদী হাসান মিরাজ
- 2
শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল জুনিয়র টাইগাররা
- 3
শ্রীলঙ্কাকে ২৮ ওভারে ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
- 4
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড
- 5
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ, ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিক, ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের আধিপত্য
হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিক, ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের আধিপত্য
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ব্যাটিং প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। বোলিং করতে নেমে পেসারদের তোপের সামনে বিপর্যস্ত উইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডার। ৪৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটি ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত রান করতে পারে কেবল ৮৭। ড্র তে সমাপ্ত হয় বাংলাদেশের গা গরমের ম্যাচ। বল হাতে তরুণ স্পিনার হাসান মুরাদ দখলে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, কেবল মাত্র ১০টি ডেলিভারি করে। ইনিংসের ২৮তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে হাসান মুরাদ পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ রান করেছে ২৫৩। সুযোগ ছিল আরও বেশি সময় ব্যাট করার, জাকের আলি, মাহিদুল অঙ্কনের ফিফটি ছোঁয়ার। তবে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের রান যখন ২৫৩, ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে দেন অধিনায়ক। এরপর বোলিংয়ে পেসারদের দাপট, ৪৫ রানেই পাঁচ উইকেট নেই স্বাগতিকদের। পেসারদের ক্যারিশমা শেষে স্পিন অ্যাকশনে হাসান মুরাদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
আগের দিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ সকালের প্রায় দুই সেশন ভেস্তে যায় বৃষ্টির কারণে। এরপর অবশ্য খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের পেসাররা দেখান দাপট। তাসকিন, হাসান মাহমুদ, শরিফুলদের পেস তোপের সামনে যেন অসহায় উইন্ডিজের টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান উঠতেই য়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। গতকাল শেষ বিকালে ইনিংস ডিক্লেয়ার দিয়ে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের উইকেট উদযাপন। বোলিংয়ে নেমে শুরুর ওভারেই বাজিমাত, হাসান মাহমুদ তুলে নিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের উইকেট।
এদিন বল হাতে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৭ রানে থাকা জশুয়া ড্রনকে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান প্যাভিলিয়নে। এরপর ইনিংসের ৯তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে জর্ডান জনসনকে বোল্ড করে নামের পাশে উইকেট সংখ্যা ডাবল করেন হাসান মাহমুদ।
মুহূর্তের মধ্যে তাসকিনও পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় শিকার। ওপেনার কিমানি মেলিয়াসকে ২৩ রানের বেশি করতে দেননি তাসকিন। শট খেলতে গিয়ে ব্যর্থ কিমানি ক্যাচ হন শরিফুলের হাতে। দলীয় ৩৮ রানে ৪, ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অবশ্য জাস্টিন গ্রিভস আর ড্যানিয়েল বেকফোর্ডের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
দলীয় ৮৭ রানে জাস্টিন গ্রিভসকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই রানে থেকেই উইন্ডিজ হারায় তাদের শেষ ৪ উইকেট। মিরাজের উইকেট শিকারের পর মাত্র ১.৪ ওভার বল করে পরের ৩টি উইকেট একা দখলে নেন হাসান মুরাদ।