পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস অল্পতে আটকে দিতে বোলারদের চেয়েও বেশি ভূমিকায় ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইবার বোলিং পরিবর্তন করে দুইবারই দলকে পাইয়ে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। দিনের প্রথম সেশনে নাহিদ রানাকে অ্যাকশনে এনে তুলে নেন ৩ উইকেট। পরের সেশনে নাহিদকে বদলে ডাকেন হাসান মাহমুদকে। এবারও অবিশ্বাস্যভাবে সফল, মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্রতিরোধ ভেঙে পরপর দুই বলে হাসান নেন দুই উইকেট। হাসান-নাহিদ আধিপত্য বিস্তার করে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেন ১৭২ রানে। হাসানের ফাইফার পূর্ণ হলেও নাহিদ রানাকে ৪ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পাকিস্তান করতে পারে কেবল ১৭২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের পাকিস্তানের হারানো ১০ উইকেটের সবটিই যায় পেসারদের দখলে। হাসান মাহমুদ পেলেন প্রথম ফাইফারের দেখা। নাহিদ রানার ৪, তাসকিন পান ১ উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশের সামনে টেস্ট জয় ও হোয়াইটওয়াশের জন্য দাঁড়িয়ে গেল ১৮৫ রানের সহজ টার্গেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস লিখার খুব কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
লাঞ্চ বিরতির আগেই জমে ওঠা রিজওয়ান-সালমান জুটি বাংলাদেশকে রীতিমতো চোখ রাঙানি দিচ্ছিল। ৮১ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান সপ্তম উইকেট জুটিতে যখন দলীয় ১৩৬ রানে। তখনই হাসান মাহমুদ বল হাতে এসে দলের সবচেয়ে বড় ‘মাথাব্যথা’কে তুলে নেন। ৪৩ রানে থাকা রিজওয়ান হাসানকে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটনের গ্লাভসে।
হাসান মাহমুদ রিজওয়ানকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি। পরের বলেই প্রথম স্লিপে থাকা শান্তর হাতে ক্যাচ বানান নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ আলিকে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হলেও পরের ওভারে আগা সালমান রুখে দেন হাসানকে। তবে আবরারকে ইনিংস বড় করতে দেননি নাহিদ রানা। প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে শান্তর বিশ্বস্ত হাতকে আরও একবার খুঁজে পায় পা ব্যাটারদের ক্যাচ। পেসারদের দাপটে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ধুঁকতে-ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত তারা গুটিয়ে যায় ১৭২ রানে।
১৪৫ রানে পাকিস্তান হারায় তাদের ৯ম উইকেট। শেষ উইকেট জুটিতে তখনও ক্রিজে সালমান আগা। দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা সমান চারটি করে উইকেট নিয়ে ফাইফারের অপেক্ষায়। কিন্তু উইকেট বাকি কেবল ১টি। সেই মীর হামজাকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের কেবল ৩ টেস্ট খেলতে নেমেই ফাইফারের পূর্ণতা পেলেন হাসান মাহমুদ। লম্বা সময় একপ্রান্ত আগলে রাখা সালমান আগা শেষদিকে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে ১৭২। সালমান আগা ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে ফাইফারের স্বাদ পাওয়া হাসান মাহমুদ ১০.৪ ওভারে রান খরচ করেন ৪৩। বিপরীতে ১১ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে নাহিদ রানার ঝুলিতে ৪ উইকেট। বাকি ১ উইকেটও পেসারের দখলেই, যা আজ সকালের সেশনের শুরুতেই নেন তাসকিন আহমেদ।