কোহলির শুরু, শেষ করলেন কার্তিক-লমরোর
কোহলির শুরু, শেষ করলেন কার্তিক-লমরোর
কোহলির শুরু, শেষ করলেন কার্তিক-লমরোর
দীনেশ কার্তিক ও মহিপাল লমরোর এর শেষ ভাগের ঝড়ে জয় তুলে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথমে ব্যাট করতে নামা প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে। ঘরের মাটিতে জবাব দিতে নেমে ভিরাট কোহলির লড়াকু ইনিংস এবং শেষদিকে কার্তিক-লমরোর এর সাহসী ব্যাটিংয়ে ৪ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা। ওপেনার হিসেবে ভিরাট কোহলি সবচেয়ে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ব্যাট করলেন। টপ অর্ডারে অন্য দুই ব্যাটার ব্যর্থ হয়েছেন আজ। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি ও ক্যামেরন গ্রিন, দুজনের ফেরা হয়েছে ব্যক্তিগত ৩ রান করে।
তবে একপ্রান্ত আগলে রাখলেন কোহলি। রজত পাতিদারের সাথে রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পাতিদারের ইনিংস বড় হয়নি, ফিরতে হয়েছে ১৮ বলে ১৮ করে। বেঙ্গালুরুর রান তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৬।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আজও ব্যর্থ। হারপ্রিত ব্রারের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ৩ রানে। একপ্রান্তে অভাব যেন বোধ হচ্ছিল তখন। কোহলির সাথে ব্যাটে যোগ দেন অনুজ রাওয়াত।
ত্রিশ বলে যখন দলের প্রয়োজন ৫৯ রান, কোহলি হার্শাল প্যাটেলের ওভার শুরু করেন দুইটি বাউন্ডারি দিয়ে। একই ওভারের শেষ বলে উইকেট হারিয়ে বসেন এই ব্যাটার। ফিরতে হয়ে ৪৯ বলে ৭৭ রান করে।
স্যাম কারানের পরের ওভারে উইকেট হারিয়ে বসেন রাওয়াত। রান প্রয়োজন যেখানে, সেখানে উইকেট হারিয়ে বসে বিপদ বাড়ায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু তখনো ছিলেন দীনেশ কার্তিক। আরেক পাশে ইম্প্যাক্ট হিসেবে নামা মহিপাল লমরোর।
এই দুই ব্যাটার মিলে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ সহজ করে দেন। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে শেষ ওভারে জিততে ১০ রান প্রয়োজন হয়। হাতে বল বাকি থাকতেই ম্যাচটি জিতে নেয় কোহলিরা।
অপরাজিত দুই ব্যাটার, কার্তিক ১০ বলে ২৮ রানে, অন্যদিকে লমরোর ৮ বলে ১৭ রানে বেঙ্গালুরুর নায়ক বনে যান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাঞ্জাব কিংস। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আজকেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে অধিনায়কের ব্যাটে রান এসেছে। শিখর ধাওয়ান ধরে খেলেছেন। প্রবশিমরান সিং ইম্প্যাক্ট হিসেবে ব্যাট হাতে নেমে ১৭ বলে ২৫ করে ফিরেছেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ও স্যাম কারানের কিছু কিছু রানের প্রচেষ্টা ছিল।
লিভিংস্টোন ও কারানের ইনিংস বড় হয়নি। ১৩ বলে ১৭ করে ফিরেছেন লিভিংস্টোন। অন্যদিকে কারানের ব্যাটে আসে ১৭ বলে ২৩ রান। কারান যখন ফিরেছেন, দলের রান তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০। চলছিল ১৮তম ওভারের খেলা। বাকি দুই ওভারে শশাঙ্ক সিংয়ের ব্যাটে আসে ক্যামিও। ৮ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শশাঙ্ক। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে পাঞ্জাব।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।