সাকিবের দলে থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা
সাকিবের দলে থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা
সাকিবের দলে থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে সাকিব আল হাসান দলে থাকবেন কিনা তা নিয়ে জেগেছিলো শঙ্কা। সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকায় অনেকের ই রোষানলে পড়তে হয়েছে তাকে সেই সাথে রয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টি ও। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তান সিরিজে দলে রয়েছেন সাকিব।
দল ঘোষণার একদিন পর সোমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিবের সঙ্গে কি কথা হয়েছে এবং তাকে কেনো দলে রাখা হয়েছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
বর্তমানে দেশে নেই সাকিব, খেলেছেন বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দলের সাথে যোগ দেননি অনুশীলন ক্যাম্প।অনুশীলন না করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে কেন সাকিব তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আাশরাফ হোসেন লিপু বলেন, 'এটা তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। তার পারফরম্যান্স দিয়ে সে নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে। অভিজ্ঞতা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সবকিছু মিলিয়ে তিনি যাচ্ছেন।'
কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নয় বরং মেধার বিবেচনায় সাকিবকে দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
পাকিস্তানে ১৭ আগস্ট যাওয়ার কথা থাকলেও আজ ই দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে সাকিব যেহেতু দেশে নেই তাই কবে তিনি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে কবে যোগ দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক বলেন, 'জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলার সময় তার প্ল্যান জানতে চেয়েছিলাম ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমাদের আটটা টেস্ট ম্যাচ রয়েছে সেখানে তার থাকা নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল। এরপর তার সাথে প্রোপার ইমেইল কথা হয়েছে থাকবে কি না একটা জানার বিষয় ছিল। একটা প্রসেস ছিল তো সেই আলোকে ১৪ অথবা ১৫ তারিখ সে দলের সাথে পাকিস্তানের যোগ দেবে যেটা লজিস্টিক দেখছে।'
সাকিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, 'সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, যোগাযোগ ছিল। গত মাসেও ছিল এ মাসেও হয়েছে। প্রসেস হলো যে দেশের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যদি থাকে তার সম্বন্ধে খোঁজ খবরটা নেওয়া। এ ছাড়া শরিফুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদ।