তামিমের ফিফটিতে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম
তামিমের ফিফটিতে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম
তামিমের ফিফটিতে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম
ন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম বিভাগ। তামিম, মুমিনুলদের ১২ রানে জয়ে ফেরার দিনে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হার দেখল সিলেট বিভাগ। ৩৩ বলে ৬৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক। পেয়েছেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও। তবে ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলের পরাজয়ে ম্লান সিলেটের ওপেনার তৌফিক তুষার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ১৪৫ রান করে চট্রগ্রাম। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট। ওপেনার তৌফিক খান তুষার একা হাতে লড়াই চালিয়ে ৩৬ বলে ৭৬ করেন। তার বিদায়ের পর জয়ের আশাও প্রায় শেষ হয়ে যায় সিলেটের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় সিলেট। ১২ রানের রোমাঞ্চকর জয় চট্টগ্রামের।
তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের উদ্বোধনী জুটিতেই ৮০ রান। ১৭ বলে ২৯ করে জয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে দারুণ সব স্ট্রোক্সে ফিফটি হাঁকিয়ে দলের সংগ্রহ টানতে থাকেন তামিম। এরমাঝে অবশ্য দ্রুত বিদায় নিয়েছেন তিনে নামা অধিনায়ক ইয়াসির আলি চৌধুরি (১), সাজ্জাদুল হক রিপন (৪)। মুমিনুল হক আউট হয়েছেন কেবল ৮ রানে।
তামিম ইকবাল প্যাভিলিয়নে ইনিংসের ১১তম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬৫ রানে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে সাজান তার এই ইনিংস। তামিম, জয় ছাড়া দুই অংকের রানে পৌঁছাতে পারেন কেবল উইকেটকিপার ব্যাটার সাব্বির হোসেন শিকদার (১৫)। ৯ উইকেট হারিয়ে তবুও ১৫ ওভারে চট্টগ্রাম পায় ১৪৫ রানের সংগ্রহ। বল হাতে এদিন ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় সিলেটের ঘরের ছেলে খালেদ আহমেদ শিকার করেন ৪ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ে সিলেট। ওপেনার জিশান আলম উদ্বোধনী ম্যাচে মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আজ পেয়েছেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। হাসান মুরাদ কেবল জিশানকে আউট করেই ক্ষান্ত হননি। প্রথম ওভারে শিকার করেন জোড়া উইকেট। তিনে নামা অমিত হাসানও হয়েছেন ডাক।
পরের ওভারে আসাদউল্লাহ গালিবকে গোল্ডেন ডাক বানান ফাহাদ হোসেন। সিলেটের টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটার এদিন আউট হয়েছেন ০, ০, ০ রানে। তবে অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়ে দলকে স্বস্তিতে রাখেন আরেক ওপেনার তৌফিক খান তুষার। চারের চেয়ে বেশি ৫ ছক্কায় মাত্র ১৯ বলেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা।
দলীয় ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তৌফিক তুষারের সঙ্গী হন ওয়াসিফ আকবর। এই জুটিতে চড়ে জয়ের ভিত পেয়ে যায় সিলেট। ৭৯ রানের জুটিতে ওয়াসিফের অবদান কেবল ১৭ রানের। এরপর হাসান মুরাদ শিকার করেন আরও এক উইকেট। অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হলে ৯৬ রানে নেই সিলেটের পঞ্চম উইকেট।
তৌফিক খান তুষার একা হাতে লড়াই চালালেও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ঝড় তুলে ৬ ছক্কা ও ৭ চারে মাত্র ৩৬ বলে করেন ৭৬ রান। তার বিদায়ের পরের বলে নাইম হাসান শিকার করেন খালেদ আহমেদকে।