চেন্নাইয়ে হতাশা, ব্যাটারদের দুষলেন তাসকিন
চেন্নাইয়ে হতাশা, ব্যাটারদের দুষলেন তাসকিন
চেন্নাইয়ে হতাশা, ব্যাটারদের দুষলেন তাসকিন
চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অনেকটাই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। দ্বিতীয় দিনের খেলা ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে শেষ করেছে ভারত। বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩০৮ রানে। এত ভালো বোলিং করেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারতে বসেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই হতাশার। সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের প্রতিনিধি তাসকিন আহমেদের কথাটাও সেই হতাশার ছাপ বোঝা গেল স্পষ্ট।
ব্যাটিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তাসকিন বলেন, 'ইকেটে পেসাররা সহায়তা পাচ্ছিল। এরপরও ব্যাট হাতে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। ব্যাটিং নিয়ে আমরা অবশ্যই হতাশ। আরও ভালো করা যেত।'
আবারো ব্যাটিংয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে তাসকিন বললেন, 'আমরা প্রথমে স্ট্রাগল করেছি, তাও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। ব্যাটাররাও সেটা মানে। নতুন বলে একটু ভালো খেললে এতগুলো উইকেট যেত না। মিডল অর্ডারের জন্য নতুন বল চ্যালেঞ্জিং।'
প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ভারতের ৬ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছিলো বাংলাদেশি বোলাররা। তবে আশ্বিন ও জাদেজার জুটিতে সে যাত্রায় বেঁচে গেছে ভারত। প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই তাসকিন মনে করছেন আরো ভালো বল করা যেতো।
'গতকালও আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। অশ্বিন ও জাদেজা ভালো খেলেছে, তখন আমরা বোলিংও ভালো করিনি। আজ সকালেও ভালো সেশন কাটিয়েছি। ৩৭ রানে ওদের বাকি ৪ উইকেট নিয়েছি। সব মিলিয়ে বোলিং ভালো করেছি, তবে আরও ভালো করা যেত। গতকাল আজকের চেয়ে উইকেটে বেশি সহায়তা ছিল। বোলিং ভালোই করেছি, তবে ব্যাটিং নিয়ে খুবই হতাশ।'
ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। যেটা কঠিন করেছে পরবর্তী ব্যাটারদের ব্যাটিং করা। "তারা লাইন-লেন্থের দিক থেকে বেশি ধারাবাহিক ছিল। নতুন বলে কিছু ভুলও করেছি। এই কন্ডিশনে প্রথম ১০-১২ ওভারে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা বেশি উইকেটও হারিয়ে ফেলেছি যেটা ব্যাটিংকে কঠিন করে তুলেছে।"
প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনের কথা আবার স্মরণ করে তাসকিন বললেন "হোম বা অ্যাওয়ে, ভারত সবসময় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। হোমে সবাই এডভান্টেজ নেয়। সামনে আমাদের হোম সিরিজ আছে, আমরাও হয়ত এভাবে ডমিনেট করব ইনশাআল্লাহ। পাকিস্তানের কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষ একটু ভিন্ন ছিল। আমরাও ব্যাটিং, বোলিং ভালো করেছি। আমাদের আরও আগে ওদের অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরাও চা বিরতির পর আপ টু দ্যা মার্ক বল করতে পারিনি। সাড়ে তিনশতে করেছি, আড়াইশতে অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরা মেনে নিচ্ছি, সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। কাল আছে, দেখা যাক কী হয়।"