তাইজুলের সর্বোচ্চ ইনিংসের দিনে অল্পতেই শেষ বাংলাদেশ
তাইজুলের সর্বোচ্চ ইনিংসের দিনে অল্পতেই শেষ বাংলাদেশ
তাইজুলের সর্বোচ্চ ইনিংসের দিনে অল্পতেই শেষ বাংলাদেশ
চলছে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। প্রথম দিনের শেষ বিকালে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ আজ ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়। কিন্তু সকালের সেশনেও ব্যর্থতার বৃত্তে বাংলাদেশ, হারায় আরও তিন উইকেট। নাইট ওয়াচম্যানের দায়িত্বে নামা তাইজুল দ্বিতীয় দিনে আউট হলেন টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ রানে। ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে গেল ৫১.৩ বল খেলতেই, মাত্র ১৮৮ রানে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ করা ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করতে পারে ১৮৮ রান। ৯২ রানের লিড নিয়ে লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নামবে। প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডারের চরম ব্যর্থতায় দলকে রক্ষা করলেন কেবল তাইজুল ইসলাম। তার ব্যাট থেকেই আসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান। শেষদিকে শরিফুল ইসলাম ১৫ ও খালেদ আহমেদ ২২ রান করে দলের সংগ্রহ ১৮৮'তে নিয়ে যান।
এর আগে সকাল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই সেট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের বিদায়, দ্রুত ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। থিতু হয়েও স্টাম্প হারান লিটন দাস। এক লাহিরু কুমারার পেস আগুনে পুড়ে সকালের সেশনে বাংলাদেশ হারায় তিন উইকেট।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন তাইজুল ইসুলাম, নাইটওয়াচম্যানের ব্যাটেই সকালের সেশনে রান পেল বাংলাদেশ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশকে রাখেন লড়াইয়ে। তবে লাঞ্চ বিরতির পর অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন তাইজুল। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে তাইজুল শিকার হন কাসুন রাজিথার। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকেও ফেরালেন রাজিথা। অভিজ্ঞ মিরাজ এদিন ৩৪ বল খেলে করেছেন কেবল ১১।
দলীয় ১৪৭ রানে মিরাজের বিদায়ের পর বাংলাদেশের অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগছিল। তবে সব শঙ্কা উড়ে যায় শরিফুল-খালেদের ব্যাটে। জমে যাওয়া এই জুটিতে বিপত্তি বাঁধান অবশ্য বিশ্ব ফার্নান্দো। জুটির রান যখন ৩৫ বলে ৪০, বিশ্ব নিজের বলে নিয়েছেন শরিফুলের ফিরতি ক্যাচ। ব্যক্তিগত ১৫ রানে শরিফুল প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশ ১৮৭ রানে হারায় তাদের ৯ম উইকেট। শেষ ব্যাটার হিসাবে আউট হন ২২ রানে থাকা খালেদ আহমেদ। আর তাতেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তাইজুল-লিটনের পর শরিফুল-খালেদের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আগের দিন নাইটওয়াচ ম্যান হিসাবে ব্যাট করতে নামা তাইজুল ইসলাম আজ সকালে টিকে গেলেও লাহিরু কুমারার পেসে উইকেট হারিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এক্সট্রা বাউন্স সামলাতে ব্যর্থ জয় ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ হয়েছেন স্লিপে। ৪৬ বল খেলা মাহমুদুল জয়ের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
এরপর তাইজুল ইসলামের সঙ্গী হন শাহাদাত হোসেন দিপু। শুরু থেকেই দিপুকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালাতে দেখা যায়। কিন্তু ইনিংস বড় করার আগেই দিপুকে স্লিপে ক্যাচ বানান লাহিরু কুমারা। প্রথম স্লিপে জয়-দিপুর দুই ক্যাচই একা লুফে নেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
আজ সকালের সেশনে বাংলাদেশ দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তাইজুল ইসলাম আর লিটন কুমার দাসের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে। এই দুইয়ের মধ্যে জুটিও হয় ৪১ রানের। কিন্তু ফের লাহিরু কুমারা অ্যাকশনে আসতেই আবার বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। ২৫ রানের থাকা লিটন বোল্ড হন কুমারার দারুণ এক ডেলিভারিতে।