ইডেনের রান বন্যায় জিতল পাঞ্জাব
ইডেনের রান বন্যায় জিতল পাঞ্জাব
ইডেনের রান বন্যায় জিতল পাঞ্জাব
আইপিএলে রান সংগ্রহ করা, রান তাড়া করা এ যেন নিছক এক ছেলেখেলায় পরিণত হয়েছে। রেকর্ড গড়া হচ্ছে, সে রেকর্ড ভাঙতে কোনো সময় লাগছে না। বোলারদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্নের এক টুর্নামেন্ট চলছে। এবার কোলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচটি জিতে নেয় ৮ বল বাকি থাকতেই, ৮ উইকেট হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এত বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আর নেই।
কোলকাতার ঘরের মাঠ। রান তোলার ক্ষেত্রে কোনো কমতি দেয়নি দলটি। পাঞ্জাব যে সেই রান তাড়া করে উঠবে, তা ভাবার মতো ছিল না। কিন্তু পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় কতটা সম্ভব ছিল দলটির জন্য এই রানের পেছনে ছোটা। এক উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তুলেছিল তাঁরা।
ওপেন করতে নামা প্রবশিমরান সিং রান আউটের শিকার হয়েছিলেন, যখন দলের রান ৯৩। এই ব্যাটার ফিরেছেন ২০ বলে ৫৪ রান করে। ততক্ষণে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ফুঁসে উঠেছেন। তার সাথে যোগ দিলেন রাইলি রুশো। রুশোর ইনিংস বড় হয়নি বেশি।
কিন্তু বেয়াস্টো একপাশ আগলে রান তোলার খেলায় মেতেছেন। সঙ্গে যোগ দিলেন শশাঙ্ক সিং। শশাঙ্কের সাথে ৮৪ রানের অপরাজিত জুটিতে নিশ্চিন্তে ম্যাচ জিতেছে পাঞ্জাব। আর বেয়ারস্টো পেয়েছেন শতকের দেখা। এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ১০৮ রানে। যেখানে ছিল ৯ ছক্কা, ৮ চার। অন্যদিকে শশাঙ্ক অপরাজিত ছিলেন ২৮ বলে ৬৮ রানে। এই ইনিংসে ছিল ৮ ছক্কা, ২ চার।
এর আগে কোলকাতার দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারাইন- দুজনেই রান পেয়েছেন। দুই ব্যাটার ফিরেছেন সত্তরের ঘরে। দুই ওপেনারের ওপেনিং জুটিতে ১৩৮ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। নারাইন ও সল্ট ফেরার পর, পরের ব্যাটাররাও রান তোলায় পারদর্শিতা দেখায়।
তাঁরা যতগুলো বল খেলেছে, স্ট্রাইক রেটের পরিমাণ ছিল বেশ ভালো। যেখানে ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ২৩ বলে ৩৯ রান। আন্দ্রে রাসেল করেন ১২ বলে ২৪ রান। শ্রেয়াস আইয়ারে বাটে আসে ১০ বলে ২৮ রানের ইনিংস। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে কোলকাতার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২৬১ রানে।