পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতল না কেউ
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতল না কেউ
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতল না কেউ
সিরিজ বাঁচাতে হলে জিততেই হতো পাকিস্তানকে। অন্যদিকে সিরিজ হাত করতে জেতার বিকল্প ছিল না নিউজিল্যান্ডের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে এমন সমীকরণে ছিল দুই দল। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক পাকিস্তান ৯ রানে ম্যাচটি জিতে নেয়, সিরিজ ড্র হয় ২-২ এ। পাকিস্তানের এই জয়ে ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট হাতে বাবর হলেও, বল হাতে শাহীন শাহ আফ্রিদি দৃষ্টি কেড়েছেন।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম টসে জিতে পরে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্যমাত্রা ১৭৯ রানের। ইনিংসের প্রথম ওভারে শাহীন ফিরিয়ে দেন টম ব্লান্ডেলকে, পরবর্তীতে শাহীন নিয়েছেন আরও ৩ উইকেট। ব্লান্ডেল ফেরার পর, টিম সেইফার্ট ও মাইকেল ব্রেসওয়েল মিলে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন। তবে দলীয় ৮১ রানে ফিফটি করা সেইফার্টের উইকেট পতন হলে চাপে পড়ে কিউইরা।
ক্ষণে ক্ষণে উইকেট যেতে থাকে। দলীয় ১০৩ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারায় দলটি। ব্রেসওয়েলও এর ফাঁকে ২৩ রানে ফেরত যান। জশ ক্লার্কসন কেবল অপরাজিত থেকেছেন, তবে জয়টি আর নিশ্চিত হয়নি। একদিকে ছিল উইকেট হারানোর মেলা।
শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, মোহাম্মদ আমিরের সেই ওভারে দুইটি রানআউটের কবলে পড়ে সব উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। তাতে ১৯.২ ওভারে ১৬৯ রানে শেষ হয় সফরকারীদের ইনিংস।
শাহীন শাহ আফ্রিদি বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন, উসামা মীর নিয়েছেন ২ টি উইকেট।
এর আগে পাকিস্তান ইনিংস শুরু করার দ্বিতীয় ওভারে হারায় সাইম আইয়ুবকে। তবে ওপেনার বাবর ঠিকই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। উসমান খানের সাথে গড়ে তোলেন জুটি। উসমান ৩১ রানে ফিরলেও, দলীয় শতক পূর্ণ করে বাবর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন।
৪৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানের দলীয় অধিনায়ক। ক্রিজে তখন ফখর জামান ছিলেন। এই ব্যাটার পাকিস্তানকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেওয়ার সবটুকু চেষ্টা করেছেন। তার ৩৩ বলে ৪৩ রানের ইনিংস ছিল কার্যকরী। শেষদিকে শাদাব খান ১ ছয় ও ১ চারে ৫ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের সংগ্রহ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।