আফগানিস্তান ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে জোর দিচ্ছেন মুশতাক আহমেদ
- 1
‘বাংলাদেশ তো চ্যাম্পিয়ন’ ভুল জানতেন আফগান কোচ
- 2
পাকিস্তানকে খোঁচা দিলেন অশ্বিন, তুলনায় টেনে আনলেন বাংলাদেশকে
- 3
রাজনৈতিক সংবেদনশীলতায় সংহতি, হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ভারতীয় অধিনায়ক ও পাকিস্তান কোচের
- 4
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করলেন শোয়েব আখতার
- 5
একপেশে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত

আফগানিস্তান ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে জোর দিচ্ছেন মুশতাক আহমেদ
আফগানিস্তান ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে জোর দিচ্ছেন মুশতাক আহমেদ
এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে সামনে আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। সুপার ফোরে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে হলে ১৬ সেপ্টেম্বর মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামতে হবে একমাত্র জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। এমন অবস্থায় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ ম্যাচ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি ও দলের মানসিক অবস্থা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
মুশতাক আহমেদ অকপটে স্বীকার করেন, সুপার ফোরে যাওয়া সহজ হবে না। তবে তার দৃষ্টিতে এখন সময় নয় যদি কিংবা কিন্তু নিয়ে ভাবার। সামনে যে ম্যাচটি আছে, সেটাতেই পুরো মনোযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তাঁর ভাষায়, “অবশ্যই এটা কঠিন, কিন্তু একই সঙ্গে যখন তুমি ‘যদি আর কিন্তু’-এর উপর নির্ভর করো, তখন তোমাকে ম্যাচে মনোযোগ দিতে হয়। সামনের যে ম্যাচটা আসছে, সেই ম্যাচটা জিততে হয়। এরপর তোমার মানসিক শক্তি আসে, বিশ্বাস তৈরি হয়। ইন শা আল্লাহ, আমি বিশ্বাস করি এটা সম্ভব।”
আফগানিস্তানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ। বরং তাদের শক্তির জায়গা নিয়েই সতর্ক করছেন তিনি। বিশেষ করে আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগকে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন মুশতাক।
তিনি বলেন, “তাদের স্পিন ডিপার্টমেন্ট খুব ভালো, বিশেষ করে মাঝের ওভারে। যদি আমরা ওই সময়টা ভালোভাবে সামাল দিতে পারি, ভালো স্কোর দাঁড় করাতে পারি, তাহলে আমাদের বোলিং ইউনিট দিয়েই লড়াই করা সম্ভব।”
বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামো ও প্রশিক্ষণ সুবিধা আফগানিস্তানের চেয়ে উন্নত হলেও আন্তর্জাতিক লিগে নিয়মিত অংশগ্রহণের ফলে আফগান ক্রিকেটাররা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা আলাদা করে দেখছেন কোচ মুশতাক। তবে এই অভিজ্ঞতা যে কেবল একতরফা নয়, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, মাঝের ওভারে বাংলাদেশের স্পিনাররাই সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে এগিয়ে।
মুশতাক বলেন, “গত ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্পিনাররা মাঝের ওভারগুলোতে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে। তাদের ইকোনমি রেটও ভালো। এই দিকটা আমাদের মনে রাখতে হবে, এটিই আমাদের শক্তি।”
তবে কেবল পরিসংখ্যান বা কৌশল নয়, জয় পেতে হলে খেলোয়াড়দের ভেতরের আত্মবিশ্বাসই হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মানসিক প্রস্তুতিকে তাই আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন মুশতাক আহমেদ।
তিনি বলেন, “আমি যখন পাকিস্তানের হয়ে খেলেছি, তখন ইমরান খান, জাভেদ মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে খেলেছি। তারা আমাকে শিখিয়েছেন, তুমি যদি না বিশ্বাস কর যে তুমি আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, তাহলে তুমি প্রতিপক্ষকে অকারণে বেশি সম্মান দেখাবে, নিজের শক্তির প্রকাশ ঘটবে না।”
এই শিক্ষাটিই এখন বাংলাদেশ দলের তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে মুশতাক বলেন, “তাদের বলি, নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় ভাবো। আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলো। ভয় পেলে হবে না।”
মুশতাক আহমেদের মতে, বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে ফিটনেস ও স্কিল, দুই দিক থেকেই উন্নতির পথে রয়েছে। তবে এই উন্নতি ম্যাচে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন মানসিক দৃঢ়তা এবং নিজের উপর বিশ্বাস।
তিনি বলেন, “আজকের দিনেও ইমন, তানজিদ, লিটন, জাকের, শামিমরা ১৭০-১৮০ রান তুলতে পারে, যদি তারা বিশ্বাস করে এবং নিজেদের মতো খেলতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ দল যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম।”
সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে শুধু মাঠের লড়াই নয়, মানসিকভাবে দৃঢ় থাকাও বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। স্পিন কোচ মুশতাক আহমদের বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাসই হবে বাংলাদেশের জয়ের চাবিকাঠি।