বৃষ্টি আর অনুশীলনের লুকোচুরি খেলায় দিন কাটাল বাংলাদেশ দল
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
বৃষ্টি আর অনুশীলনের লুকোচুরি খেলায় দিন কাটাল বাংলাদেশ দল
বৃষ্টি আর অনুশীলনের লুকোচুরি খেলায় দিন কাটাল বাংলাদেশ দল
সিলেটের আকাশ সকাল থেকেই ছিল ঘনকালো মেঘে ঢাকা। দুপুর গড়াতেই হুটহাট নামে বৃষ্টি, শুরুটা হয় হালকা ফোঁটায়, পরে তা রূপ নেয় অঝোর ধারা বৃষ্টিতে। বৃষ্টির তীব্রতায় মাঠ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন কার্যক্রম থমকে যায়।
একাত্তর টেলিভিশনের ক্রীড়া সাংবাদিক সাইফুল রুপকও মন্তব্য করেন, “আজ হয়তো আর অনুশীলন হবে না। গতকালকের মতো আজও দলকে হয়তো হোটেলেই ফিরতে হবে।”
তবে বিকেলের দিকে বৃষ্টির বিরতি মেলে। সেই সুযোগেই কোচ ফিল সিমন্সের নেতৃত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় মাঠে নেমে পড়েন লিটন দাস, তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমনরা। ফিটনেস ট্রেনারের অধীনে তিন ভাগে ভাগ হয়ে চলে শর্ট রানিং অনুশীলন।
এরপর মূল মাঠের সেন্ট্রাল উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনে নেমে পড়েন তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, তাওহীদ হৃদয় ও মাহেদী হাসান। পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের কড়া নজরে চলে ছক্কা হাঁকানোর অনুশীলন। হৃদয়ের ব্যাটে হিট এলেই কোচের প্রশংসা, বাকিদের জন্যও উৎসাহে ছিল না কার্পণ্য।
দলের অনুশীলনের শুরুটা হয়েছিল স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় মাঠে, সেখান ফেরা যাক। এখানেও দক্ষিণ-পূর্ব পাশের চার নেটে ক্রিকেটাররা মাতেন ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনে। অন্যপাশে, অর্থাৎ উইকেট থেকে খানিকটা দূরে পশ্চিমের টিলার চার ক্রিকেটার নিয়ে শর্ট থ্রোয়িং ফিল্ডিং অনুশীলন করান কোচ। পেসার নাহিদ রানা ছিলেন আলাদা নজরে।
বৃষ্টির বাধার পর এভাবেই চলছিল বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। তবে ঐ যে সিলেটের আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা, সেই ঘন-কালো মেঘ বেধ করে আবারও নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি হানা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ক্রিকেটারদের শুরু হয় দৌড়ঝাপ, কেউ কেউ আবার বলছিলেন, ‘Rain is coming, so run, run.’
বিকেলের এই বৃষ্টির বাধায় দিনের আলোয় অনুশীলন স্থগিত হয়। তবে সন্ধ্যা নামতেই অবস্থা আবার বদলায়, থামে বৃষ্টি। আর কৃত্রিম আলোয় ফের শুরু হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন।
সেন্ট্রাল উইকেটের দুই পাশে এবার স্পিনার ও পেসারদের জন্য আলাদা দুই নেট। শুরুতে স্পিনারদের সামলান দুই ওপেনার তানজিদ ও ইমন, অন্যদিকে পেসারদের মোকাবেলায় ছিলেন শান্ত ও সৌম্য। এক পর্যায়ে নেট পরিবর্তন করে উল্টোভাবে অনুশীলন করেন তারা। স্পিনারদের বিপক্ষে বারবার ভুগতে দেখা যায় শান্ত ও সৌম্যকে।
সবশেষে যখন শরীফুল ও ইবাদত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বোলিংয়ের, ঠিক তখনই ফের নামে বৃষ্টি। এক ব্যাটার ছুটে পালাতে পালাতে বলে ওঠেন, “আমার ব্যাটিং শেষ, সাথে আজকের অনুশীলনও শেষ।”
দুপুরের অনিশ্চয়তা, বিকেলের বিরতি ও রাতের প্রত্যাবর্তন। সব মিলিয়ে দিনশেষে দুই সেশনেই অনুশীলন করতে পারে বাংলাদেশ। সাংবাদিক সাইফুল রুপক একে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে, বলছিলেন, “আজ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না। সন্ধ্যার পরে মাঠে নামাটা ছিল বাড়তি পাওয়া। পাওয়ার হিটিংয়ের লক্ষ্যেই অনুশীলন হয়েছে, সেই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আছে। সফলতা একদিনেই আসবে না, তবে আজকের অনুশীলন ছিল ভালো।”