শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতল ১৪৬ রানে
- 1
ইংল্যান্ড টেস্টের জন্য জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী দল ঘোষণা
- 2
নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজকে
- 3
নারী ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড
- 4
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আকবর আলির নেতৃত্বে ইমার্জিং দল ঘোষণা
- 5
লন্ডনে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে এনসিএল খেলবেন সাব্বির ও জহুরুল

শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতল ১৪৬ রানে
শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতল ১৪৬ রানে
শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আধিপত্য দেখাচ্ছে বাংলাদেশের যুবারা। কলম্বোর মাঠে চতুর্থ ওয়ানডেতেও শ্রীলঙ্কাকে পাত্তা না দিয়ে ছয় ম্যাচের সিরিজে ১-৩ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন দল। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩৭ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে লঙ্কানরা করতে পারে কেবল ১৯০ রান।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯৮ রানের পরাজয়ের পর হ্যাটট্রিক জয়ের দেখা পেল জুনিয়র টাইগাররা। ওপেনার জাওয়াদ আবরারের সেঞ্চুরি, রিজান হোসেনের ফিফটিতে চড়ে এদিন বাংলাদেশ পায় সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এক ম্যাচ আগে ১৩০ রানের ইনিংস খেলা জাওয়াদ আবরার এবার আরও একটি সেঞ্চুরি উপহার দিলেন। তিন ম্যাচের মধ্যে দুই সেঞ্চুরি।
কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে সিরিজ সমতায় আনতে হলে শ্রীলঙ্কাকে ৫০ ওভারে করতে হত ৩৩৭ রান। কিন্তু টাইগার বোলারদের তোপের সামনে পড়ে ৩৮.৪ ওভারে ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি লঙ্কানরা। আর তাতেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৪৬ রানে জিতল সিরিজের ৪র্থ ওয়ানডে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ পেসার আল ফাহাদের তোপে ৩৮.৪ ওভারে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটের সামনে লঙ্কান টপ অর্ডারের কেউ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ৩৬ রানে ৪ উইকেট, ৮১ রানে মাথায় লঙ্কানরা হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট।
১৭ বলে ৩০ রান করে চামিকা হিনাতিগালা আল ফাহাদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হলে আরও বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর অধিনায়ক ভিমথ দিনসারা ফিফটি হাঁকালেও দলকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি। লঙ্কান ক্যাপ্টেন সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। শেষদিকে রাসিথ নিমসারা ২৯ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।
আজ ব্যাটিংয়ে খুব ভালো করতে না পারলেও বোলিংয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। দুই ওভার করতেই দখলে নিয়ে নেন প্রতিপক্ষের দুই উইকেট। বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার আল ফাহাদ। এছাড়া জোড়া শিকার আছে সানজিদ মজুমদারেরও। দেবাশীষ দেবা, সামিউন বাসির, কালাম সিদ্দিক পান একটি করে উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৪৬ রানে জয়ী।