সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল টাইগাররা
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগে আপডেট: 14 মিনিট আগে-
1
ইংল্যান্ডের আগুন ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের হার, সিরিজে এগিয়ে সফরকারীরা
-
2
শেষদিকে রিশাদের দুর্দান্ত ক্যামিও, স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বরেকর্ড
-
3
শাহিন আফ্রিদির হাতে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব
-
4
ছোট ব্যাটে অনুশীলন, বড় কিছুর ইঙ্গিত মুশতাকের
-
5
থ্রিলারে বাংলাদেশের বিদায়, টিকে রইল শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনা

সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল টাইগাররা
সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল টাইগাররা
সুপারওভারে বাংলাদেশকে ১ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো সফরকারীরা।
১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গোল্ডেন ডাকে ব্রেন্ডন কিং কে ফেরান নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রান তুলে প্রাথমিক বিপদ থেকে উদ্ধার করেন আলিক আথানজে এবং কেসি কার্টি। কেসি ফেরেন ৩৫ রান করে। তারপর রিশাদ হোসেনের বোলিং আক্রমণে ৯০ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অধিনায়ক শাই হোপ অন্যান্যদের সাথে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। অষ্টম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করে জায়ের কাছাকাছি পৌছে যায় সফরকারীরা। ২৬ রান করে জাস্টিন গ্রেভস রান আউট হয়ে ফিরলে আবারো ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে উইন্ডিজের দরকার ছিলো ৬ রানের, হাতে ছিলো ২ উইকেট। বোলার সাইফ হাসান প্রথম দুই বল ডট দিয়ে শুরু করে একটা উইকেট পেলেও শেষ বলে সোহানের ক্যাচ মিসে স্কোর লেভেল হয়ে যায়, অথ্যাৎ ১১৩। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে
অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ সুপার ওভারে বল তুলে দেয় মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। প্রথম বল থেকে আসে ১ রান, দ্বিতীয় বলে সাইফের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন রাদারফোর্ড। তৃতীয় বলে ২, চতুর্থ বলে ১ এবং শেষ দুই বল থেকে আসে যথাক্রমে ২ ও ৪ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ১১ রানের।
তবে আকিল হোসেনের ২ টি ওয়াইড ও ১ টি নো বলের পরেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বাংলাদেশ করে ৯ রান। হেরে যায় ১ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। ২ টি করে উইকেট নেন নাসুম ও তানভীর।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংস গড়ে ওঠে ধীরে, আর শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে দল তোলে লড়াকু সংগ্রহ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার সাইফ হাসান দ্রুত ফেরেন মাত্র ৬ রানে। তাওহীদ হৃদয় ও সৌম্য সরকারের জুটি কিছুটা স্থিতি আনলেও, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দল চাপে পড়ে। হৃদয় (১২), শান্ত (১৫) ও অঙ্কন (১৭) আউট হলে ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলের হাল ধরতে চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার, ৭৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে মারেন ৩ চার ও ১ ছক্কা। তবে তাঁর বিদায়ের পর আবারও ধস নামে। অধিনায়ক মিরাজ ও নাসুম কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন, কিন্তু নাসুম ১৪ রানে ফিরলে চাপ আরও বাড়ে। এরপর নুরুল হাসান সোহান ২৩ রানে রানের গতি বাড়ালেও দলের স্কোর খুব বেশি এগোয়নি।
শেষদিকে আসে রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ইনিংস। মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ক্যামিওতে বাংলাদেশের ইনিংসকে পৌঁছে দেন ২১৩ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা। অপর প্রান্তে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গুদাকেশ মোতি ৩ উইকেট, আকিল হোসেন ও আলিক আথানজি প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। তাদের স্পিনাররা মিলে গড়েন এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার বল করার রেকর্ড।