মুশতাক আহমেদ বললেন, 'আমাদের ভালোভাবে কামব্যাক করার সামর্থ্য আছে'

বাংলাদেশ-পাকিস্তান মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ খোলামেলা মন্তব্য করেছেন দলের পারফরম্যান্স, খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ব্যাটিং-বোলিং কৌশল নিয়ে। তিনি যেমন পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন, তেমনই তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের উন্নতির ক্ষেত্রগুলো।

ম্যাচে পারফর্ম করে নজর কাড়েন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাদাব খান। তার প্রশংসা করে মুশতাক বলেন, “শাদাব অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, সে অনেক বছর ধরে খেলছে। তার আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করলে সেটা বাড়েই। পিএসএল থেকে সে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছে।”

এদিকে বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন পিএসএলে করেন নজরকাড়া পারফরম্যান্স। তবে দেশের হয়ে সেটা ধরে রাখতে পারেননি। রিশাদের আরো শেখার আছে বলে তার সম্পর্কে মুশতাক বলেন, “সে এখনও শেখার পর্যায়ে আছে, প্রতি ম্যাচেই শিখছে। তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তাকে আরও ফিল্ড পজিশন নিয়ে ভাবতে হবে। এখনও ম্যাচ উইনার সে।”

তৌহিদ হৃদয় ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ২০০+ রান তাড়া করতে নেমে খেলেন ২২ বলে ১৭ রানের ইনিংস। এ নিয়ে মুশতাক বলেন, “আজকে সে মোমেন্টামটা পায়নি। তবে সে দারুণ প্লেয়ার, ম্যাচ চেঞ্জার। অনেক ভালো ইনিংস খেলেছে আগে। আশা করি, এই পিচ থেকে সে বুঝতে পারবে ভালো অবস্থা কী হতে পারে।”

পাকিস্তানকে কৃতিত্ব, বাংলাদেশের ভুল থেকে শেখা দরকার। ম্যাচে পাকিস্তানের ইতিবাচক মানসিকতার প্রশংসা করে মুশতাক বলেন,“পাকিস্তান দলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা ক্রিকেটিং শট খেলেছে, ভালো ইনটেন্ট দেখিয়েছে। আঘা সালমান দারুণ ব্যাটিং করেছে।”

বাংলাদেশের মূল দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতিকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাসকিন-ফিজ না থাকলেও শরিফুল ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আমাদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের কামব্যাক করার সামর্থ্য আছে।”

দুই পেসারকে পূর্ণ কোটায় ব্যবহার না করায় অধিনায়কের সঙ্গে এখনও আলোচনা হয়নি মুশতাকের। এদিকে শামীম পাটোয়ারী ভালো বল করেছেন পেয়েছেন ১টি উইকেট ও। তার সম্পর্কে মুশতাক বলেন, “শুরুতে পিচ ট্যাকি ছিল, সুইং হচ্ছিল। পরে পিচ ভালো হয়। শামীম চার ওভার করেছে, এবং দারুণ করেছে। এটা ছিল তার প্রথম বোলিং, সে ভবিষ্যতে একজন কার্যকরী ষষ্ঠ বোলার হতে পারে।”

মুশতাক আহমেদের মতে, এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুতি নিলে বাংলাদেশ দলে এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। স্পিন, ব্যাটিং ও দলগত কৌশল সব দিকেই উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মনে করেন এই অভিজ্ঞ কোচ।