বিসিবিতে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বাংলাদেশ

বিসিবিতে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বাংলাদেশ
বিসিবিতে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বাংলাদেশ
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ফারুক আহমেদকে বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে বোর্ড পরিচালনা ও প্রশাসনে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আইসিসি। ফারুক আহমেদ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে, আর সরকার তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ফারুক আহমেদ যদি নিজ থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে ভিন্ন কথা। এর আগে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে (এসএলসি) নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি।
সরকারি হস্তক্ষেপের প্রভাব যেকোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে পড়লে কঠোর অবস্থান নেয় আইসিসি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত কোন ক্রিকেট বোর্ডকে সরকারি হস্তক্ষেপ করা যায় না। অবশ্য ফারুক আহমেদ যদি নিজ থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে আইসিসির পক্ষ থেকে কোনো ইস্যু হওয়ার কথা না। সরকার চাইলেই বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনতে পারবে না।
সরকার চাইলেই সরিয়ে দিতে পারবে না ফারুক আহমেদকে। সেক্ষেত্রে শঙ্কা থাকবে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের মতো আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার। তবে ফারুক আহমেদ নিজে থেকে পদত্যাগ করলে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট। যেহেতু তিনি ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে বিসিবিতে এসেছেন, ক্রীড়া পরিষদ চাইলে তার কাউন্সিলরশিপ বাতিল করতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ফারুক আহমেদ। তখনই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে আর বিসিবিতে ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না।’ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে সরকারের কাছে দু-একদিন সময় চেয়েছেন তিনি।
ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। গুঞ্জন রয়েছে এমনও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বে আসতে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।