টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষতা এবং চিন্তাধারা সঠিক রাখতে হবে: ধনঞ্জয়া
টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষতা এবং চিন্তাধারা সঠিক রাখতে হবে: ধনঞ্জয়া
টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষতা এবং চিন্তাধারা সঠিক রাখতে হবে: ধনঞ্জয়া
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে শুভসূচনা করেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের বোলিং- বিশেষ করে পেসারদের কথা আলাদাভাবে এসেছে এই ম্যাচে। পাশাপাশি ব্যাটারদের কাছ থেকে এসেছে আশানুরূপ পারফরম্যান্স। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের কাছ থেকে দুই ইনিংসেই এসেছে সেঞ্চুরি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ধনঞ্জয়া জানালেন, লাল বলের ক্রিকেটে দক্ষতা ও চিন্তাধারার গুরুত্ব বেশি।
শ্রীলঙ্কার পেসারদের কাছ থেকে এসেছে সব উইকেট। অর্থাৎ বাংলাদেশকে দুই ইনিংসে অলআউট করার পুরো কৃতিত্ব পেসারদের। লঙ্কান একাদশে ছিলেন ৩ পেসার। কাসুন রাজিথা, বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। বাংলাদেশকে দুই ইনিংসে অল্প রানে বেঁধে ফেলার কাজটুকু তাঁরাই করেছেন।
ধনঞ্জয়া বলেন, “এটা দেখে পেস বোলিং উইকেট মনে হয়েছিল। তাই আমরা ৩ পেসার খেলিয়েছি। দিন শেষে এটি কাজে লেগেছে বলে আমার মনে হয়। দিন যত গড়িয়েছে পেসারদের গতি কমেছে। তবে আমার মনে হয় যেভাবে আমাদের পেসাররা বোলিং করেছে আমি বেশ খুশি।“
পেসারদের পেয়ে খুশি অধিনায়ক। উপমহাদেশে সাধারণত ৩ পেসার নিয়ে খেলতে দেখা যায় না দলগুলোকে। স্বাভাবিকভাবেই এখানকার পিচ স্পিন-নির্ভর হয়ে থাকে। তবে সিলেটে বেশ আশাব্যঞ্জক উইকেট ছিল দুই দলের জন্যই, তা তাঁদের অধিনায়কেরা জানিয়েছেন। লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, “আসলে আমাদের দেশেও আমরা ৩ পেসার নিয়ে খেলে থাকি। যেকোনো উইকেটে যদি নতুন বলে সুইং থাকে, রিভার্স সুইং থাকে, উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে। এখানেই (পেসারদের দিয়ে) উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে অধিনায়কের কাছে। স্পিনারদের উইকেট খুব বেশি সাহায্য করছিল না। ফলে আমি পেসারদের খেলিয়ে খুশি।“
বাংলাদেশ দলের টেস্ট মানসিকতা এখনো উন্নত নয় বলে আলোচনা আছে। এমনকি দলের সদস্যরাও এই তথ্য মেনে থাকেন। টেস্টে যে ধরনের ধৈর্য ও শট বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেখানে বাংলাদেশ দল বরাবরই নিজেদের ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। অন্তত শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ধনঞ্জয়া মনে করেন, “হ্যাঁ অবশ্যই। টেস্ট ক্রিকেটে স্কিল এবং চিন্তাধারা সঠিক রাখতে হবে। অনুশীলন, ট্রেনিংয়ে আমাদের কাজের ফলটা মাঠে পেয়েছি আমরা।“