কানপুরে ১৮ উইকেট ও ৪৩৭ রানের এক দিন
কানপুরে ১৮ উইকেট ও ৪৩৭ রানের এক দিন
কানপুরে ১৮ উইকেট ও ৪৩৭ রানের এক দিন
বাংলাদেশের বোলারদের তুলাধুনা করে ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫ রান করেছে ভারত। ফলে প্রথম ইনিংসে তারা পায় ৫২ রানের লিড। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশ হারায় ওপেনার জাকির হাসান ও নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদকে। কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেট ২৬ রান করা বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ২৬ রানে।
কানপুরে আজ বল মাঠে গড়িয়েছে ৮৫ ওভার। দুই দল মিলে মোট ৪৩৭ রান করার বিপরীতে উইকেট হারায় ১৮টি। শেষ সেশনে উইকেট গেল ৯টি।
বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে ২৮৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করল ভারত। কানপুর টেস্ট যেন এদিন রূপ নিয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে। ম্যাচ জয়ের জন্য ভারতীয় ব্যাটাররা রীতিমতো তান্ডব চালায়। তবে সাকিব-মিরাজের স্পিন ঘূর্ণির সামনে ২৮৫ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে ৫২ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসে থামে ভারত। ২৮৫ রান তুলেছে মাত্র ৩৪.৪ ওভারে। ওভারপ্রতি রানরেট ছিল ৮.২২। এই রান করার পথে টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তারা। তবে সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ মিরাজ মিলে যথাক্রমে ৪টি করে ভারতের ৮ উইকেট দখলে নেন।
শেষ বিকালে ফের ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় ওপেনার জাকির হাসানকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হলেন ১০ রানে থাকা বাঁহাতি ওপেনার জাকির। রিভিউ নিয়েও বাঁচাতে পারেননি উইকেট। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে তিন নম্বরে নামানো হয় হাসান মাহমুদকে। তবে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন হাসান। অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হওয়া হাসান করেন ৪ রান।
জাকির আর নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদ দ্রুত ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি। বেশ দেখে-শুনে দিনের খেলা শেষ করে যান প্যাভিলিয়নে। শেষবেলায় তার সঙ্গী হন মুমিনুল হক। সাদমান অপরাজিত ৭ রানে, রানের খাতা এখনও খোলা হয়নি মুমিনুল হকের।