রানের পাহাড়ে উঠল দুই দল, জয়ী হায়দ্রাবাদ
রানের পাহাড়ে উঠল দুই দল, জয়ী হায়দ্রাবাদ
রানের পাহাড়ে উঠল দুই দল, জয়ী হায়দ্রাবাদ
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ যা করল, তা আইপিএল ইতিহাসে এর আগে কেউ করেনি। দল হিসেবে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পাশাপাশি দুই দল মিলে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ। নিজেদের ঘরের মাটিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রানের সংগ্রহ তোলে হায়দ্রাবাদ। মুম্বাই অবশ্য কম যায়নি। তবে এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরেও মুম্বাইয়ের পক্ষে ম্যাচটি জেতা সম্ভব হয় না। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁদের। ব্যবধান ছিল আরো ৩১ টি রানের।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে হায়দ্রাবাদ। একপাশে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ধীর থাকলেও, ট্রাভিস হেডের ব্যাট চলেছে সজোরে। আগারওয়াল যখন ফিরেছেন তখন দলের রান ৪৫। ওভার চলছি ৫ টি। তবে হেডের সাথে তিনে নামা অভিষেক শর্মা যোগ দেওয়ার পর, রানের বারুদ ছুটতে থাকে আরো জোরে।
হায়দ্রাবাদ দলীয় শতক ছাড়িয়েছে সপ্তম ওভার শেষে। দলীয় ১১৩ রানে হেড বিদায় নেন। ২৪ বলে খেলে ৬২ রানের ইনিংস। অভিষেকের সাথে তখন যোগ দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। মার্করামকে সাথে নিয়ে অভিষেকের রান ছুটতে থাকে। দলের রান বাড়তে থাকে।
অবশেষে দলীয় ১৬১ রানে অভিষেক ফেরেন। ব্যক্তিগত ২৩ বলে ৬৩ রান করে। অভিষেক ফিরলেও বিপদ কাটে না। বরং আরও যেন বাড়ে মুম্বাইয়ের জন্য। ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন।
দুই প্রোটিয়া ব্যাটার; ক্লাসেন ও মার্করাম মিলে দলীয় ২০০ ছাড়িয়ে যান। দুজনেই অপরাজিত থাকেন। আর জুটিতে রান দাঁড়ায় ১১৬। মার্করাম ২৮ বলে ৪২ রানে। অন্যদিকে ক্লাসেন ছিলেন ৩৪ বলে ৮০ রানে। ক্লাসেনের ইনিংসে ছিল ৭ টি ছক্কা ও ৪ টি চার।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্যমাত্রা মাথায় নিয়ে নামলেও মুম্বাই ঘাবড়ে যায়নি। বরং হায়দ্রাবাদের চেয়েও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ব্যাট চালাতে থাকে দুই ওপেনার। মাত্র ৩ ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে। ওপেনার ইশান কিষান যখন ফিরেছেন, দলের রান ৫৬। ইশান ফেরেন ১৩ বলে ৩৪ রান করে। রোহিতের ইনিংসও আটকে যায় ২৬ রানে, ১২ বলে।
তিন ও চারে নামা নামান ধিরের সাথে তিলক ভার্মা, দুজনে রান এগিয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। দলীয় শতক ছাড়িয়ে ১৫০ রানের মাথায় নামান ফেরেন, ১৪ বলে ৩০ রান করে। তিলক ছিলেন আরো কিছুক্ষণ। হার্দিক পান্ডিয়ার ইনিংস যদিও আজকের প্রেক্ষাপটে যুতসই ছিল না।
তিলক যখন ফেরেন, দলের রান ১৮২, চলছিল ১৫তম ওভারের খেলা। নতুন ব্যাটার টিম ডেভিড যোগ দেন এই মার-কাটারি দৃশ্যে। ব্যর্থ হননি। হার্দিক ও ডেভিড মিলে ২০০ ছাড়িয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে।
২০ বলে ২৪ রান করে হার্দিক বিদায় নেন। শেষ হয়েছে ১৮ ওভারের খেলা। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৫৪ টি রান। ১৯তম ওভারে ৭ রান আসার পর, রোমারিও শেফার্ডের কল্যাণে শেষ ওভারে আসে ১৫ টি রানে। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামতে হয় মুম্বাইকে।
টিম ডেভিড ২২ বলে ৪২ এবং শেফার্ড ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।