অ্যাথানেজের বীরত্বে প্রোটিয়াদের জয় রুখে দিল উইন্ডিজ
অ্যাথানেজের বীরত্বে প্রোটিয়াদের জয় রুখে দিল উইন্ডিজ
অ্যাথানেজের বীরত্বে প্রোটিয়াদের জয় রুখে দিল উইন্ডিজ
বৃষ্টিবিঘ্নিত ত্রিনিদাদ টেস্টে হারের শঙ্কায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু অলিক অ্যাথানেজ ৯২ রানের ইনিংস খেলে পালটে দেন ম্যাচের ভাগ্য। নিশ্চিত হারতে যাওয়া ম্যাচে স্বাগতিকরা করেছে ড্র। বৃষ্টি বাগড়া না দিলে এই ম্যাচে জয়ের হাসি হাসতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরের জুলাই থেকে বিশ্বব্যাপী ২৮টি ম্যাচে এটাই প্রথম ড্র টেস্ট।
বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল বিনা উইকেটে ৩০। শেষ দিনের প্রথম সেশনেই রানের চাকায় গতি বাড়ায় প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের রান যখন ১৭৩, তখনই ইনিংস ডিক্লেয়ার। স্টাবস ২ ছয় ও ৬ চারে ৫০ বলে করেন ৬৮ রান। দুই ওপেনারের মধ্যে টনি ডি জর্জি ৬০ বলে ৪৫ আর এইডেন মার্করাম ৪৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
দুই সেশনে উইন্ডিজের সামনে টার্গেট ২৯৮ রানের। দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ছিল সহজেই গুটিয়ে দেওয়া। শুরুটা হয়েছেও এমনই, ইনিংসের প্রথম ৩ বলের মধ্যেই উইকেট হারিয়ে বসেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। আরেক ওপেনার মিকাইল লুইস ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নামা কিসি কার্টি তখন সঙ্গী হিসাবে পান অলিক অ্যাথানেজকে।
ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা অ্যাথানেজ এদিন ছিলেন দুর্দান্ত। ৯২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরার সময়ই টেস্ট ড্র নিশ্চিত হয়ে যায়। সাদা পোশাকে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। কার্টি ৫৪ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন অ্যাথানেজ। এরপর কিভাম হজের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
প্রোটিয়াদের জয়ের সম্ভাবনা আটকে দিতে জেসন হোল্ডারও খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস। হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ৭৬ বলে ৩১ রানে। শেষ পর্যন্ত যখন ১১৬ বলে ৯২ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন অ্যাথানেজ। ৫ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যখন ২০১, ম্যাচ ড্র'তে হয় সমাপ্তি।