কানপুরের আউটফিল্ডের বেহাল দশা, মুশফিকরা কেবল ব্যাটিং শ্যাডোই করতে পারলেন
৯৭ প্রতিবেদক: শিহাব আহসান খান
প্রকাশ : 1 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগেকানপুরের আউটফিল্ডের বেহাল দশা, মুশফিকরা কেবল ব্যাটিং শ্যাডোই করতে পারলেন
কানপুরের আউটফিল্ডের বেহাল দশা, মুশফিকরা কেবল ব্যাটিং শ্যাডোই করতে পারলেন
গ্রিন পার্ক, কানপুর। গ্যালারিতে থাকা দুই গাছের পাতার রঙ, দর্শকদের জন্য থাকা আসনের রঙ- এছাড়া গেলদিনে সবুজ চোখে পড়েনি গ্রিন পার্কে। গোটা মাঠ ছিল নীল রঙা কাভারে ঢাকা।
তবে আজ তেমনটা ছিল না। সকাল থেকেই বৃষ্টি নেই কানপুরে। আকাশে বিস্তর মেঘ থাকলেও তা বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি। গোটা মাঠের কাভার সরানো হয় সকালেই, স্থানীয় সময় ১০ টা বাজার আগে মূল উইকেটের দেখা মেলে।
১০ টায় প্রথম দফা মাঠ পরিদর্শন করতে নামেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। সেই পরিদর্শন শেষে ঘোষণা আসে পরবর্তী পরিদর্শন ২ ঘন্টা পর। বেলা ১২ টার পরিদর্শনেও কোন সমাধান আসে না। বেলা ২ টায় আরেক দফা পরিদর্শনের ঘোষণা আসে। তখনও ২ দলের কেউই হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে আসেননি।
গ্রিন পার্ক, কানপুরের ঘড়িতে ২ টা বাজার আগ দিয়ে মাঠে দেখা যায় মুশফিকুর রহিমকে। ২ দিন ধরে অপরাজিত থাকা মুশফিক টিম অপারেশন্স ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান সেন্টার উইকেট পর্যন্ত। সেখানে ব্যাটিং শ্যাডো করেন কিছুক্ষণ। গ্যালারির দুই তৃতীয়াংশ আসন সকাল থেকেই দখল করে থাকা স্থানীয় দর্শকদের চি'ৎ'কা'র তখন কয়েক গুন বেড়ে যায়, বেড়ে যায় ভু'ভু'জে'লার শব্দও।
কানপুরের দর্শকরা অবশ্য মাঠে কোন গ্রাউন্ডস্টাফের তৎপরতা দেখেও খুশি হয়েছে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃষ্টিমাথায় গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা আজ বৃষ্টিহীন দিনে মাঠের খেলা উপভোগ করতে মুখিয়ে ছিল।
তবে সবাইকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ব্যাটিং শ্যাডো দেখেই। মুশফিকের মত ব্রডকাস্টার টিমে থাকা তামিম ইকবালও সেন্টার উইকেটের কাছে গিয়ে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে ব্যাটিং শ্যাডো করেন। যে ছবি ইতোমধ্যেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
শেষ দফা মাঠ পরিদর্শন করতে এসে আম্পায়াররা চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে দেন। ২য় দিনের ন্যায় ৩য় দিনেও ১ বলও মাঠে না গড়িয়েই শেষ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গেলদিনই বলেছিলেন মাঠে খেলা না গড়ানোতে সবাই হতাশ। মাঠে নামার অপেক্ষা আরও একদিন বেড়ে যাওয়াতে তাঁদের হতাশা যে আরও বেড়েছে তা অনুমান করে নেওয়াই যায়।
হতাশা বেশি ভিড় করার কথা ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ এর পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা ভারত চেন্নাইয়ের মত কানপুর টেস্টে জিতেও আরও ১২ পয়েন্ট নিতে চাইবে। তবে ২ দিনই বৃষ্টির পেটে যাওয়াতে ফল নিজেদের পক্ষে আনাটা কঠিনই হবে রোহিত শর্মার দলের।
নিজেদের সেরাটা দিয়েও স্বাগতিকদের তাকিয়ে থাকতে হবে আবহাওয়া ও গ্রিন পার্কের আউটফিল্ডের দিকে। পর্যাপ্ত সময় পেয়েও যা খেলার উপযোগী করে তুলতে পারেনি গ্রাউন্ডস্টাফরা।
কানপুর টেস্ট কাভার করতে আসা ভারতীয় সাংবাদিক বিমল কুমার ধারণা করছেন এই প্রশ্নবিদ্ধ আউটফিল্ডের কারণে ভবিষ্যতে কানপুরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন হবে। এমনিতেই কালেভদ্রে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাওয়া গ্রিন পার্ককে ভবিষ্যতে লড়াই করতে হবে উত্তর প্রদেশের দারুণ কিছু স্টেডিয়ামের সঙ্গে। ২০২৪ সালে এসেও আধুনিকতা থেকে দূরে থাকা গ্রিন পার্ক তাই আবার কবে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।