বাংলাদেশকে মাত্র ৩০ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বাংলাদেশকে মাত্র ৩০ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বাংলাদেশকে মাত্র ৩০ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
পাকিস্তানকে টেস্ট ফরম্যাটে প্রথমবারের মত হারাবার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার কাজটা পঞ্চম দিনে করেছেন সাকিব আল হাসান। সৌদ শাকিলকে ডাক বানানোর পর সেট ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককেও করেন বিদায়। এরপর মিরাজের স্পিন বিষে দিশেহারা হয়ে যায় স্বাগতিকরা, একাই নেন ৪ উইকেট। পাকিস্তান নিজেদের ২য় ইনিংসে করতে পারে কেবল ১৪৬, লিড পায় ২৯ রানের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড (১৪৬) পাকিস্তানের সঙ্গী। ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৩০ রান!
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রেসে টিকে থাকার জন্যেও এই ম্যাচ জেতা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে ১৩ টেস্ট খেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। টেস্টে জয় তো দূরের কথা ড্র আছেই মাত্র একটি। ১২টি ম্যাচ হেরেছে ও ১টিতে ড্র করেছে টাইগাররা। এবার টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়তে টাইগারদের সামনে সহজ সমীকরণ। প্রায় দুই সেশনে করতে হবে কেবল ৩০ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখান বোলাররা, বিশেষ করে সাকিব। প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করা বাংলাদেশ পায় ১১৭ রানের লিড। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান করতে পারে কেবল ১৪৬। সাকিব আল হাসানের ৩ উইকেট শিকারের পর মেহেদী হাসান মিরাজ একা নিলেন ৪ উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান।
লাঞ্চ বিরতির আগেই এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান। মিরাজের উইকেটের পর শুরু হয় বিরতি, ফিরে এসে মিরাজের ফের আঘাত। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ফিরিয়ে মিরাজ দখলে নেন নিজের দ্বিতীয় শিকার। এরপর নাসিম শাহকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাকিব পান তিন নম্বর উইকেটের দেখা।
১ রানের লিড নিয়ে দলীয় ১১৮ রানে পড়েছিল পাকিস্তানের অষ্টম উইকেট। খুররম শাহজাদকে সঙ্গী করে লড়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তানের আশা হয়ে ক্রিজে টিকে থাকা রিজওয়ান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭০ বলে। শেষ পর্যন্ত বিদায় নিলেন ৫১ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ইনসাইড এজে হারান স্টাম্প।
লম্বা সময় একপ্রান্ত আগলে রাখা বিগ ফিশ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান মিরাজ। শেষ ব্যাটার মোহাম্মদ আলির উইকেটও দখলে নেন মিরাজ। ফলে ৫৫.৫ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশ পেল মাত্র ৩০ রানের টার্গেট।