শিরোপার খুব কাছে সিলেট
- 1
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা
- 2
প্রথম বলেই সাকিবের ৬, এরপর ডট দিয়ে আউট
- 3
পাকিস্তান সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ওয়ানডে দল ঘোষণা
- 4
তামিমকে টপকে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কা মাহমুদউল্লাহর
- 5
নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে ম্যাথু পটসকে ডাকল ইংল্যান্ড
শিরোপার খুব কাছে সিলেট
শিরোপার খুব কাছে সিলেট
জাতীয় ক্রিকেট লিগের একদিনের ম্যাচে শিরোপা আছে সিলেটের। চারদিনের ম্যাচে গেল দুই মৌসুম ধরেই রানার্সআপ হয়ে আসছে জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক ও আবু জায়েদ রাহিরা। এবার সিলেট আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোকে এক ইনিংস ও ১৩৯ রানে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে গেল রাজিন সালেহ শিষ্যরা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেট-ঢাকার ম্যাচে ছিল বোলারদের দাপট। সেখানে কাগজ-কলমে সিলেটের বোলিং বিভাগ দেশের অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সেই শক্তিমত্তার পরিচয় সিলেটের খালেদ আহমেদ, রেজাউর রাহমান রাজা ও নাসুম আহমেদরা দিয়েছেন মার্শাল আইয়ুব, শামসুর রহমান ও নাইম শেখদের মতো ব্যাটারদের নিয়ে গড়া মেট্রোকে দুইবার দেড়শোর নিচে অলআউট করে।
প্রথম ইনিংসে মেট্রোকে ১৩০ রানে গুটিয়ে দেয় সিলেটের বোলাররা। খালেদ, রাজা ও নাসুমের বোলিং তোপে এই অল্পতেই থেমে যায় মার্শাল, নাঈম ও শামসুরদের ইনিংস। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে মাহফিজুল ইসলামের ব্যাটে। এছাড়া ১৭ রান করেন শামসুর। বা হাতের স্পিন জাদুতে নাসুম ফেরান মেট্রোর চার ব্যাটারকে। খালেদ ও রাজা মিলে শিকার করেন সমানসংখ্যক তিন উইকেট।
মেট্রোকে অল্পতে বাঁধলেও সিলেটের ভয়টা ছিল ব্যাটারদের নিয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে তৌফিক খান তুষার ও পিনাক ঘোষ মিলে অর্ধশত রানের জুটি গড়লে শুরুর সেই জুজুরভয় কিছুটা কেটে যায়। দলীয় ৫৮ রানে পিনাককে (১৬) ফিরিয়ে সিলেট শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ফাহিম হাসান। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ৪২ রানে আরিফ আহমেদের শিকারে পরিণত হন তুষার। ফলে ৫৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় সিলেট।
পিনাক-তুষারের দ্রুত বিদায় সিলেটের ব্যাটিংয়ে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তিনে নামা মুবিন আহমেদ দিশান ও চারে নামা অধিনায়ক অমিত হাসানের ব্যাটে সিলেট ঘুরে দাঁড়ায় অনায়াসে। অমিত-দিশানে (১০৬) শতরানের জুটিতে সিলেট মেট্রোর রান টপকে লিড তুলে ৩৪ রানের। দলীয় ১৬৪ রানে দিশানকে (৪৩) এই জুটি ভাঙেন ফাহিম। পাঁচে নামা নাসুম অবশ্য তেমন ভাল করতে পারেননি। সিলেটের স্পিনার ফিরেন মাত্র ১১ রান করে।
এরপর ছয়ে নামা আসাদুল্লাহ আল গালিবকে নিয়ে সিলেটকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান অমিত। অর্ধশত রানের জুটি গড়ার পথে অমিত করেন সেঞ্চুরি। ২০৩ বলে ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০১ রানের ইনিংসটি সাজান অমিত। সেঞ্চুরির পর আরিফের বলে বোল্ড হয়ে সিলেটের এই অধিনায়ক ফিরেন সাজঘরে। এরপর গালিবের (৫৮) ফিফটি এবং তোফায়েল আহমেদের ৬ ছক্কার অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭৬ রানে।
রংপুরের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন আরিফ আহমেদ। এছাড়া আবু হায়দার রনি ৩টি, ফাহিম হাসান ২টি, রাকিবুল হাসান নেন ১টি উইকেট।
২৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রো। খালেদ-রাজার গতির ঝড়ে মাত্র ত্রিশের ঘরেই প্রথম চার উইকেট হারিয়ে বসে মেট্রো। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নাঈম (৮) ও মাহফিজুল (৭) ফেরান খালেদ। তিন ও চারে নামা আইচ মোল্লা (৬) ও তাহজিবুল ইসলামকে (৩) সাজঘরে পাঠান রাজা।
এরপর মার্শাল (৩৮) ও আবু হায়দার রনি (২৮) ব্যাটে কোনো রকম তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় মেট্রো। দলীয় ১০৭ রানে মার্শালকে ফিরিয়ে সিলেটকে এক ইনিংস ও ১৩৪ রানের জয় উপহার দেন নাসুম।
দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের হয়ে ৪৫ রানে ৫ উইকেট খালেদ। আরেক পেসার রাজার শিকার ৩ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান দুই আহমেদ নাসুম ও নাঈম।
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৫ ম্যাচে তিন জয় এবং ২ ড্রতে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সিলেট। লিগের শেষ দুই ম্যাচে কোনো অঘটন না ঘটলে এবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের ম্যাচের শিরোপা আসতে যাচ্ছে সিলেটে।