ব্যাটারদের ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 দিন আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
ব্যাটারদের ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ

ব্যাটারদের ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ

ব্যাটারদের ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যেকোনো সংস্করণে সর্বনিম্ন স্কোরিং রেট দেখা গেল এবারের আসরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়েছে বড় সব নাম। সবচেয়ে ধীরগতির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ; কিন্তু সবচেয়ে বেশি ছক্কা, অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন এবং আরও অনেক কিছু... 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো রান না করেই প্রথম প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ৪.১৭ - এই বিশ্বকাপে জাসপ্রীত বুমরাহর ইকোনমি রেট, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক সংস্করণে ১০০-এর বেশি বল করা যে কেউ'র মধ্যে সবার সেরা। আট ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ২৯ রান দেন বুমরাহ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই বিশ্বকাপে বুমরাহর নেওয়া উইকেট এবং বাউন্ডারির ​​মধ্যে আছে চোখে পড়ার মতো পার্থক্য। তিনি ২৯.৪ ওভারে বল করে ১৫ উইকেট নেন, কিন্তু দুই ছক্কা সহ মাত্র ১২টি বাউন্ডারি হজম করেন।

বুমরাহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম প্লেয়ার-অফ-দ্য-টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতেছেন - কোনো রান না করেই। বুমরাহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোল্ডেন ডাক হন, টুর্নামেন্ট জুড়ে একমাত্র এ ম্যাচেই তাকে ব্যাট করতে হয়েছিল।

৭.০৯ - সামগ্রিক রান রেট, যা ছিল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ২০২১ সংস্করণে ৭.৪৩, যা সংযুক্ত আরব-আমিরাতের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সর্বোচ্চ ২১৮ রান আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ হয়েছিল সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড উগান্ডার, এখানেও অবশ্য আছে উইন্ডিজের নাম। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১২ ওভারে উগান্ডাকে ৩৯ রানে থামিয়ে দিয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি যৌথভাবে সর্বনিম্ন। ২০১৪ আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে থেমেছিল নেদারল্যান্ডস। সেই লজ্জার নজিরে ভাগ বসাল উগান্ডাও।

নিজেদের পরের ম্যাচে কিউইদের সামনে উগান্ডা করতে পেরেছে ৪০, বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রভিডেন্সের পিচেও ব্যাটিং খুব একটা সহজ ছিল না। 

৫১৭ - টুর্নামেন্টে মোট ছক্কা, এটি ৫০০-এর বেশি ছক্কা সহ প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগের সর্বোচ্চ ছয়ের সংখ্যা ছিল ২০২১ সালে, ৪০৫। বল-প্রতি-ছক্কার অনুপাত ছিল ২১.৩৫, সর্বকালের সেরা। 

সেঞ্চুরি ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ২০০৯ এবং ২০২৪। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমিফাইনালে তিলেকারত্নে দিলশানের অপরাজিত ৯৬ রান, এবারের আসরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিকোলাস পুরানের ৯৮ রান ছিল সর্বোচ্চ।

তবে বোলাররা এবারের ২০২৪ বিশ্বকাপে পেয়েছে সর্বোচ্চ সাফল্য। চার কিংবা এর বেশি উইকেট শিকারের বোলিং ফিগার দেখা গেছে ১৯ বার। এটি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। 

১৭১ - এই বিশ্বকাপে রিশাব পান্টের করা রান, অর্ধশতক ছাড়াই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয় ১৮৪ রান করেছিলেন, যার সর্বোচ্চ ৪৪*। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পান্টের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪২।

৯৬ - বল মোহাম্মদ আমির এই বিশ্বকাপে করেছেন, তাকে হজম করতে হয়নি একটি ছক্কাও। আমিরই প্রথম বোলার যিনি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি ভিন্ন সংস্করণে (ন্যূনতম দশ ওভার) একটি ছক্কাও ব্যাটারকে মারতে দেননি।

ভারত পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী প্রথম দল, যারা হারেনি একটি ম্যাচেও। ভারত তাদের খেলা আটটি ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে, একটি টস ছাড়াই পরিত্যক্ত, কানাডার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের খেলা।