ফাইফারের কৃতিত্ব দলের সবাইকে দিলেন হাসান মাহমুদ
ফাইফারের কৃতিত্ব দলের সবাইকে দিলেন হাসান মাহমুদ
ফাইফারের কৃতিত্ব দলের সবাইকে দিলেন হাসান মাহমুদ
বাংলাদেশের দুই ওপেনারের শেষবেলার রোমাঞ্চ মাটি করে দিল আলোকস্বল্পতা। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেই কাল টার্গেটের বাকি ১৪৩ রান টপকাতে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। হাসানের ফাইফার পূর্ণ হলেও নাহিদ রানাকে ৪ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ফাইফার অনুভূতি জানাতে গিয়ে হাসান কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখান পেসাররা। দ্বিতীয় ইনিংসের পাকিস্তানের হারানো ১০ উইকেটের সবটিই যায় পেসারদের দখলে। রিজওয়ান আর সালমান বাদে কেউই বাংলাদেশি বোলারদের সত্যিকার অর্থে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানার পেস আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে কেবল ১৭২ রানে।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা হাসান মাহমুদ তার প্রথম ফাইফারের কৃতিত্ব দিলেন দলের বাকি সদস্যদের, 'আসলে আমার সতীর্থদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত যারা প্রতিটি বলের পিছনে অনেক পরিশ্রম করে। প্ল্যান আসলে খুবই সিম্পল ছিল। নতুন বল হাতে নিয়ে চেষ্টা করতে হয়েছে লাইন অনুযায়ী বল করে যাওয়া, যেরকমটা অধিনায়ক এবং দল চেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের প্ল্যানে বল করে উইকেট তোলার চেষ্টা করে যাওয়া।'
'আসলে আমি বলতে চাই, ৫ উইকেট পাওয়াটা আনন্দের ব্যাপার, দেশ এবং দলের জন্য গর্বের ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচে আমরা জিতলাম। এখন আরও একটি ম্যাচে ভালো করতে পারছি এখানেও জেতার সুযোগ রয়েছে। অনেক খুশি আমরা।'
চা বিরতির পর মাত্র এক ওভার হওয়ার পরই মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়ে যায় দিনের খেলা। বাংলাদেশের দুই ওপেনারের শেষবেলার রোমাঞ্চ মাটি করে দিল আলোকস্বল্পতা। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেই কাল টার্গেটের বাকি ১৪৩ রান টপকাতে নামবে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ জানিয়ে গেলেন, তাদের সামনে ম্যাচ জয়ের দারুণ সুযোগ।
বল হাতে ফাইফারের স্বাদ পাওয়া হাসান মাহমুদ ১০.৪ ওভারে রান খরচ করেন ৪৩। বিপরীতে ১১ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে নাহিদ রানার ঝুলিতে ৪ উইকেট। বাকি ১ উইকেটও পেসারের দখলেই, যা আজ সকালের সেশনের শুরুতেই নেন তাসকিন আহমেদ। পুরো বোলিং ইনিংসের ব্যাখ্যায় হাসান বললেন,
আমার রোলের কথা বললে, যখনই কোনো পেসারকে বল দেওয়া হয় তখন প্ল্যান থাকে উইকেট নেওয়ার মত বল কীভাবে করা যায়। যত বল করতে পারবে তত সফল হতে পারবে। তাসকিন ভাই শুরু করেছিল দিনের প্রথম উইকেট দিয়ে। এরপর রানা দুর্দান্ত বল করেছে। হয়ত মোমেন্টামটা আমাদের দিকে শিফট করেছে। এরপর আমাকে বল দেওয়া হল। আমিও আমার প্রসেসে ছিলাম এজন্যই উইকেটটা পেলাম আরকি।'
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস অল্পতে আটকে দিতে বোলারদের চেয়েও বেশি ভূমিকায় ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইবার বোলিং পরিবর্তন করে দুইবারই দলকে পাইয়ে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। দিনের প্রথম সেশনে নাহিদ রানাকে অ্যাকশনে এনে তুলে নেন ৩ উইকেট। পরের সেশনে নাহিদকে বদলে ডাকেন হাসান মাহমুদকে। এবারও অবিশ্বাস্যভাবে সফল, মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্রতিরোধ ভেঙে পরপর দুই বলে হাসান নেন দুই উইকেট। হাসান-নাহিদ আধিপত্য বিস্তার করে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেন ১৭২ রানে।