হৃদয়ের উইকেট পেয়ে যা বললেন কামিন্স
হৃদয়ের উইকেট পেয়ে যা বললেন কামিন্স
হৃদয়ের উইকেট পেয়ে যা বললেন কামিন্স
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক, ফেরালেন ২০০৭ এর স্মৃতি। সুপার এইটে বাংলাদেশ ম্যাচে প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক, ২০২৪ সালের এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সপ্তম হ্যাটট্রিক। ব্রেট লির পর কামিন্স দ্বিতীয় অজি, তাও আবার সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। কামিন্স জানতেন না তিনি হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন। ম্যাচসেরা কামিন্সের চোখে, তাওহীদ হৃদয়ের উইকেটই ছিল ম্যাচের সবচেয়ে বড়।
২০২৩ সালের আইসিসি মেন্স ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বকাপেও রেকর্ড গড়লেন কামিন্স। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার এইটের ম্যাচে হ্যাটট্রিক নিয়েছেন কামিন্স। এ বারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। এই কীর্তি গড়তে গিয়ে কামিন্স নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী ও তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট।
ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে পেয়ে কামিন্স বললেন, 'আমার কোন ধারণাই ছিল না (হ্যাটট্রিকের উপর), তারপর দেখেছি স্ক্রিনে উঠে এসেছে। সেট ব্যাটার, ইনিংস বড় করতেছে, তাই এটি একটি বড় উইকেট ছিল (হৃদয়ের উইকেটে) এবং তাদের অল্পতে আটকাতে পেরে খুশি। লক্ষ্য ছিল জেতা এবং আমরা রান-রেট ভালো এগিয়েছি, আমাদের সুপার এইটে এগিয়ে যাওয়ার গতি বজায় রাখতে হবে।'
ম্যাচে ১৮ তম ওভারে বল করতে আসেন প্যাট কামিন্স। সেই ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পরপর দুটি উইকেট নেন অজি স্পিড স্টার। প্যাট কামিন্সের শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন ৪০ রানে থাকা তাওহীদ হৃদয়ের উইকেট। আগের ওভারের শেষ দুই বল ও পরের ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন প্যাট কামিন্স।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ে সুপার এইট পর্ব শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। ৫১ ডট বলের ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে করতে পারে কেবল ১৪০। এই রান যেন কিছুই মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের কাছে। ওয়ার্নার-হেডের ওপেনিং জুটির দাপটে প্রথম ৬ ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার রান ৫৯। এরপর ম্যাচটি দফায় দফায় বৃষ্টির বাধায় পড়েছে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার পর্যন্ত যায়নি। তবে বৃষ্টি বাধার পরও ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১১.২ ওভারে ১০০ রান। মূলত বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল অজিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় ওই ব্যবধানেই সুপার এইটে প্রথম জয়টি পেল মিচেল মার্শের দল।