ডিপিএলে রনি-রিয়াদদের কাছে হারল মাশরাফিরা
ডিপিএলে রনি-রিয়াদদের কাছে হারল মাশরাফিরা
ডিপিএলে রনি-রিয়াদদের কাছে হারল মাশরাফিরা
আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ছিল ৩ টি ম্যাচ। যেখানে ফতুল্লাতে লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সাভারে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিউয়ন। অন্যদিকে সাভারের অন্য মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে শাইনপুকুর স্পোর্টিং ক্লাব।
মোহামেডানের জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন রনি তালুকদার। প্রথমে ব্যাট করতে নামা রুপগঞ্জের রানে সুবিধা করতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ১৭৮ রানে। মোহামেডানের পক্ষে বল হাতে নাসুম আহমেদ ও আসিফ হাসান- দুজনেই ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রুপগঞ্জের অল্প রান তাড়া করতে গিয়ে মোহামেডান ৪ টি উইকেট হারায়। যেখানে রনি ও মাহমুদুল হাসান অঙ্কন বাদে, বাকি ব্যাটাররা ফেরেন এক ডিজিটের রানে। রনি ১১৪ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে মাহিদুলের ব্যাটে আসে ৫৯ টি রান। ফলে ৪২তম ওভার খেলতে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে মোহামেডান।
গাজী টায়ার্স ও ব্রাদার্সের মধ্যকার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে গাজী। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ করে দলটি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন আশরাফুল আলম আসিফ। ইফিতেখার সাজ্জাদ করেন ৪৭ টি রান। ব্রাদার্সের পক্ষে বল হাতে রহমত আলি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন।
২২৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্সকে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়। অর্থাৎ ৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যেয়ে দলটি জয় নিশ্চিত করে। যেখানে মাহমুদুল হাসানের অপরাজিত ৫০ এর ভূমিকা ছিল আলাদাভাবে। আর বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ইমতিয়াজ হোসেন ও রাহাতুল ফেরদৌস যথাক্রমে ৩৯ ও ৩২ রান করেন। গাজী টায়ার্সের পক্ষে বল হাতে শামীম মিয়া সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেন।
শাইনপুকুর ও পারটেক্সের মধ্যকার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর। যেখানে ওপেনার খালিদ হাসানের ৮৫ রান ও ইরফান শুক্কুরের অপরাজিত ৬৬ রানের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পারটেক্স গুটিয়ে যায় অল্প রানে। ওপেনার জাহিদুজ্জামান ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। বাকিরা ছিলেন আসা ও যাওয়ার মধ্যে। বেশিরভাগ ব্যাটারই ফিরেছেন এক ডিজিটে। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাকিরাও।
ফলে ৪০ ওভার ব্যাট করে ১২৯ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। শাইনপুকুর ম্যাচটি জিতে নেয় ১২৮ রানে। শাইনপুকুরের পক্ষে, বল হাতে হাসান মুরাদ সর্বোচ্চ ৪ টি উইকেট সংগ্রহ করেন।