হারের মূল কারণ জানালেন শান্ত, বরাবরের মত ২০-৩০ রানের আক্ষেপ
হারের মূল কারণ জানালেন শান্ত, বরাবরের মত ২০-৩০ রানের আক্ষেপ
হারের মূল কারণ জানালেন শান্ত, বরাবরের মত ২০-৩০ রানের আক্ষেপ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দেখা গেছে লো স্কোরিং ম্যাচ। নিউইয়র্কের ড্রপ ইন পিচে উইকেটে টিকে থেকে রান তোলা ছিলো কঠিন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্বের ম্যাচ গুলোতে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। এখানে বল ব্যাটে আসছে, রান হচ্ছে প্রচুর। তবুও রান করতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছে ১৪০ রান। তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১১.২ ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছিল সাবলীল ভাবে। অন্যদলের ব্যাটাররা যেখানে শট খেলতে পারছেন, বাংলাদেশী ব্যাটাররা কেনো পারছেন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন পিচে আরও বেশি রান করতে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে শান্তর কণ্ঠে, তিনি বলেন, ‘কন্ডিশনে অনেক বেশি ভিন্নতা রয়েছে। সর্বশেষ ম্যাচে স্পিন ও সিম দুটোই ভালো ধরছিল। আজকের উইকেট একদম ফ্ল্যাট, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো উইকেট। আমরা ভালো ব্যাট করিনি, এটাই মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ১৬০-১৭০ রান করা দরকার ছিল।'
শান্ত আরে বলেন, 'আমরা যখন ব্যাটিং করেছি, ১৬০-১৭০ মনে হয়েছে, অন্তত ১৬০ হলে ভালো রান। উইকেট শুরুতে স্লো ছিল। পরে যদিও ওদের ব্যাটিংয়ে মনে হয়েছে সহজ ছিল। বল ভিজে যাওয়ার কারণে ব্যাটে ভালো আসছিল। আমাদের পেস বলের বিরুদ্ধে অনায়াসে খেলেছে।'
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিটন দাস এদিন করেছেন ২৫ বলে ১৬ রান। এমন ধীর গতির ব্যাটিং বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। লিটন দাসের এমন ব্যাটিং কি পরিকল্পনার অংশ ছিলো কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন,
'শুরুর দিকে একটু দেখে খেলারই পরিকল্পনা ছিল। আগের ম্যাচগুলোতেও ওরকম ভালো শুরু পাচ্ছিলাম না। ৬ ওভার কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি। আরেকটু ভালো হতে পারত, তবে আমরা খুশি ছিলাম। আমি যখন আউট হয়েছি, আউট না হয়ে যদি ১৭-১৮ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে হয়ত ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারত।'