নারাইনের সেঞ্চুরি আঁধারে ঠেলে জয় হলো বাটলারের
নারাইনের সেঞ্চুরি আঁধারে ঠেলে জয় হলো বাটলারের
নারাইনের সেঞ্চুরি আঁধারে ঠেলে জয় হলো বাটলারের
সমানে সমানে লড়াইয়ে রাজস্থান রয়্যালস জিতে গেল কোলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। কোলকাতার হয়ে সুনীল নারাইনের সেঞ্চুরিকে আঁধারে ঠেলে বড় হয়ে উঠলেন জস বাটলার। এই রাজস্থান ব্যাটারের অপরাজিত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে জিতেছে দলটি। মোট ৭ ম্যাচ খেলে ৬ জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে রাখল রাজস্থান।
ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচ। রাজস্থানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ২২৪ রানের। এই বিশাল রানের পাহাড় সামনে নিয়ে কোলকাতার মাঠ থেকে জয় তুলে নেওয়া সহজ কথা না। তবে তা সহজ করে দিয়েছেন বাটলার। এই ইংলিশ ব্যাটার খেলেছেন এক অতিমানবীয় ইনিংস।
তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো ব্যাটারের অভাব অবশ্য বোধ করা যাচ্ছিল বারবার। ইয়াশাসভি জাইসাওয়াল তো ১৯ এর বেশি করেননি। অধিনায়ক সানজু স্যামসনও ফিরেছেন দ্রুত। রিয়ান পরাগ অবশ্য বেশ খানিকটা এগিয়ে দেন। তার ১৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ছিল কার্যকরী। কিন্তু দলটির পরের ৩ ব্যাটারের রান ছিল যথাক্রমে; ২, ৮, ০, যেখানে বাটলার আবারও নিজেকে একা বোধ করার সুযোগ পেয়ে যান।
সেসময় রোভম্যান পাওয়েল এসেছে ক্রিজে। দারুণভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়ে খেলছিলেন, আর অন্যপ্রান্তে বাটলার। পাওয়েল যখন ফিরেছেন, দলের সংগ্রহ ১৬.৫ ওভারে ১৭৮ রান। তখনো কিন্তু আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
১৯ বল থেকে প্রয়োজন ছিল ৪৬ টি রান! পরের দুই ব্যাটারের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট ও আভেশ খান, কাউকেই রান করার সুযোগ দেননি বাটলার। বোল্ট রান আউট হয়েছেন ১ বল খেলে, আভেশ কোনো বল খেলারই সুযোগ পাননি।
বাটলার নিজে একা হাতে কাজটুকু করে গেছেন। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ভারুন চক্রবর্তীর সেই ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তাতে তার সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়ে যায়। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান, লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে সে রান পূর্ণ করে দলকে জয়ের ধারায় রাখলেন বাটলার। আর রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রান তাড়ার রেকর্ড নিজেদের কাছেই রেখে দিল। এর আগে ২০২০ সালে এই কোলকাতার বিপক্ষেই ২২৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। নিজেদের সেই রেকর্ডে নিজেরা পা রাখল রাজস্থান।
এর আগে টসে জিতে কোলকাতাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। দলটির হয়ে ওপেনার নারাইন যতক্ষণ ছিলেন মুহুর্মুহ রান উঠেছে। বাকিদের ব্যাট অবশ্য হাসেনি তেমন।
ফিল সল্ট দ্রুত ফেরেন, তিন নম্বরে নামা অংক্রিশ রঘুবংশীর ব্যাটে আসে ৩০ (১৮) রান, শ্রেয়াস আইয়ার ও আন্দ্রে রাসেল করেছেন হতাশ। রিংকু সিং ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
আর একা হাতে নারাইন ছড়ি ঘুরিয়েছে কোলকাতার বোলারদের উপর। প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান এই ক্রিকেটার। তিনি ফিরেছেন ১৭.৩ ওভারে, দলের রান তখন ১৯৫ এ পৌঁছেছে।
নারাইনের ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংসে ছিল ১৩ টি চার এবং ৬ টি ছক্কা। আর শেষপর্যন্ত কোলকাতার রান থেমেছে ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে।
রাজস্থানের পক্ষে বল হাতে, ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন এবং আভেশ খান ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন।