আমরা কোনো অজুহাত দিতে পারব না: মুমিনুল
আমরা কোনো অজুহাত দিতে পারব না: মুমিনুল
আমরা কোনো অজুহাত দিতে পারব না: মুমিনুল
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটে-বলে বাজে পারফরম্যান্সে বিব্রতকর পরাজয়ের সামনে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের অসম্ভব লক্ষ্যের এই ম্যাচ জিততে বা ড্র করতে হলে বাংলাদেশকে পঞ্চম দিনে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। ম্যাচ জিততে হলে গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড, রান করতে হবে আরও ২৪৩। ড্র করতে হলে খেলতে হবে পুরো এক দিন। যেখানে হাতে বাকি কেবল ৩ উইকেট। ফিফটি হাঁকিয়ে পরের বলেই উইকেট হারানো মুমিনুল বললেন, আগ্রাসী না নরমাল ক্রিকেটই খেলতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থতার দায় ব্যাটারদের হয়ে মুমিনুল নিলেন নিজের কাঁধে।
আজকের দিনে বাংলাদেশ অবশ্য একটি জায়গায় পেতে পারে স্বস্তি, টানা পাঁচ ইনিংসে দুইশো রানের নিচে অলআউট হওয়া দলটি আজ কেবল ৬ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় ২০০। তবে চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৪ ওভার খেলতেই টাইগাররা হারিয়ে বসে চার ব্যাটারকে। সেশনের একদম শেষ ওভারে মুমিনুল হক আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান। এর আগেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮ তম অর্ধশতকের দেখা পান এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আক্ষেপ আছে মুমিনুলেরও, 'হ্যাঁ চা বিরতির আগের ওভারে আমি আউট হয়েছি অইটা আমার দোষ। আমার অই সময়ে অই শট খেলাটা আমার উচিত হয়নি।'
মুমিনুল নিজের নরমাল খেলাই খেলতে চেয়েছিলেন,
'আমার মনে হয় না আগ্রাসী ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট অনেক বেটার ছিল। আমি চেয়েছিলাম যে একটু আগ্রাসী না, নরমাল ক্রিকেটটাই খেলার। আমি যদি শুধু ব্লক ব্লক ব্লক খেলি তাহলে বোলারের জন্য জায়গা তৈরি হয়ে যায়। আমি নরমাল খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি। পেস বোলিংয়ে যদি দেখেন আমি রাশ শট খেলি নাই। স্পিনে আমার যেসব জায়গায় জোন সেসব জায়গায় আমি ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েছি। প্রথম ইনিংসে অনেক সময় নিয়ে ব্যাট করায় হয়ত আগ্রাসী মনে হয়েছে।'
মুমিনুল স্বীকার করে গেলেন, নিজেদের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা। পুরো দলই একসঙ্গে খারাপ খেলেছে; অকপটেই বললেন মুমিনুল, 'ব্যাটিং তো আমার কাছে মনে হয় ঢাকা টেস্ট যদি ধরেন ঢাকা টেস্টের উইকেট ভিন্ন। এই সিরিজ ধরলে এই সিরিজে আমরা ব্যাটিং ওয়াইজ আমরা কলাপ্স করসি। এটা আমরা কোনো অজুহাত দিতে পারব না। আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি দল হিসেবে। যতটুকু করা দরকার, যেটা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা খেলতে পারি নাই। সিরিজে আমাদের যখন যেখানে ভালো করা দরকার যা করা দরকার কোনোভাবেই আমরা করতে পারি নাই।'