তিলক-সাঞ্জুর ব্যাটে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল ভারত
তিলক-সাঞ্জুর ব্যাটে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল ভারত
তিলক-সাঞ্জুর ব্যাটে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল ভারত
তিলক ভার্মা, সাঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৫ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫ রানের জয়ে চার ম্যাচের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিলো টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় জয় এটি।
জোহানসবার্গে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুরু থেকেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে পাওয়ার প্লে তেই ৭৩ রান তুলে ফেলে ভারত। লুথো শিপামলার বলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান অভিষেক শর্মা।
আরেক ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নামেন তিলক ভার্মা। প্রোটিয়া বোলারদের পি'টি'য়ে ঝড়ের গতিতে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ক্রমেই সাঞ্চু ও তিলকের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা।
মাত্র ৮৬ বলে ২১০ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করা তিলক ভার্মা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ১২০ রান করে। তার ইনিংসে ছিলো ৯ টি চার ও ১০ টি ছক্কা। ওপেনার স্যামসন ৯ ছক্কা ও ৬ চারে করেন ৫৬ বলে অপরাজিত থাকেন ১০৯ রান করে। নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ভারতের রান তখন ১ উইকেটে ২৮৩।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ভারত ছেলেখেলা করেছে এটা তাদের ইকোনোমি রেট দেখলেই বোঝা যায়। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রান দেয়া মার্কো ইয়ানসেনের ইকোনোমি রেট ই ১০ এর উপরে। ট্রিস্টান স্টাবস ১ ওভারে রান দিয়েছেন ২১। বাকি সবার ইকোনোমি গড়ে ১৪/১৫ করে।
২৮৪ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর্শদ্বীপ সিংয়ের জোড়া আঘাতে মাত্র ১০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তারপর ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৪ বলে ৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড মিলার।
২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মিলার। স্টাবস থামেন ২৯ বলে ৪৩ রানে। মার্কো ইয়ানসেন ১২ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও লক্ষ্য থেকে যোজন যোজন দূরে থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ১০ বল বাকি রেখে ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।।
ভারতের হয়ে ৩ টি উইকেট নেন আর্শদ্বীপ সিং। ২ টি করে উইকেট পান বরুন চক্রবর্তী ও আক্সার প্যাটেল। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন তিলক ভার্মা