মিরাজের ফাইফারে একদিনও টিকল না পাকিস্তান
মিরাজের ফাইফারে একদিনও টিকল না পাকিস্তান
মিরাজের ফাইফারে একদিনও টিকল না পাকিস্তান
রাওয়ালপিন্ডিতে স্পিন ঝলক দেখালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে অল্পতেই শেষ পাকিস্তান, মিরাজ পেয়েছেন চার উইকেট। তাসকিন আহমেদের পেস তোপের সাথে মিরাজের স্পিন জাদু; সফরকারী বাংলাদেশের সাথে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে এক দিনও পার করতে পারল না শান মাসুদের পাকিস্তান। স্পিনার-পেসারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লাঞ্চের আগেই পাঁচ উইকেট নেই। দিনের শেষ সেশনে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২৭৪ রানে।
একটা সময় ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান ছিল ১০৭, তারপর শুরু হয় বিপর্যয়। শেষ পর্যন্ত ২৭৪ রানে থামে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ দলে স্পিন বিভাগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সবচেয়ে বড় শক্তি অফ স্পিনার মিরাজ। এই মিরাজই আবার জ্বলে ওঠলেন। ২২.১ ওভার বল করে নিলেন ফাইফার। টেস্ট ক্রিকেটে এটি মিরাজের ১০ম ফাইফার।
সকালের সেশনে ১, এরপর ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে সফল বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশনেও নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। শেষটা করলেন মেহেদী মিরাজ। পাকিস্তান গুটিয়ে গেল ২৭৪ রানে। বোলারদের দাপটে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশময় এক দিন।
ইনিংসের প্রথম বলেই তাসকিন আহমেদের আগ্রাসন। বোল্ড করে ফেরান পাক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে। পরের সেশনে ব্যাটারদের চাপে ফেলে আরও ৪ উইকেট আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। ৫৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়ে চা বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ছিল বেশ সতর্ক।
সেশনের ১০তম ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। নাহিদ রানার প্রথম উইকেটের শিকার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রিজওয়ান এক্সট্রা বাউন্স সামলাতে ব্যর্থ, এজ হয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। আর তাতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে বাংলাদেশ।
এরপর দ্রুতই বিদায় নেন খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আলি। এই দুই উইকেটও যায় মিরাজের ঝুলিতেই। দলীয় ২৪৬ রানে ৮ম উইকেট হারানো পাকিস্তান তখনও সালমান আগার দিকে তাকিয়ে। স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই কেবল ক্রিজে লড়াই চালিয়ে যান। ইনিংসের ৮৫তম ওভারে তাসকিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে সালমান পেয়ে যান সপ্তম টেস্ট ফিফটি।
ইনিংসের সমাপ্তি টানার ক্ষেত্রে তাসকিন ফেরান সালমানকে। এরপর মিরাজ এসে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দিয়ে দখলে নেন ফাইফার।