মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২ রানের আক্ষেপ, তবুও বাংলাদেশ পেল বড় সংগ্রহ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২ রানের আক্ষেপ, তবুও বাংলাদেশ পেল বড় সংগ্রহ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২ রানের আক্ষেপ, তবুও বাংলাদেশ পেল বড় সংগ্রহ
ওপেনিংয়ে দারুণ শুরুর পর আরও একবার বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। তবে এবার আর অল্পতে গুটিয়ে যেতে হয়নি। ৭২ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে এরপর রীতিমতো স্বস্তি এনে দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুইয়ের ১৪৫ রানের অনবদ্য জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। মিরাজ ৬৬ রান করে বিদায় নেন। সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও পারলেন না মাহমুদউল্লাহ, ইনিংসের শেষ বলে ৯৮ করে রান-আউট। আর তাতেই বাংলাদেশের রান ২৪৪।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজের শততম ম্যাচ ব্যাট হাতে রাঙালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে যাওয়ায় এদিন মিরাজের নামের পাশে লেখা হয় আরও এক অর্জন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক। টস ভাগ্যও আসে অধিনায়ক মিরাজের পক্ষে। এরপর দলের বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে খেললেন ৬৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে ৯৮ বলে আসে ৯৮ রান। সেঞ্চুরি হাঁকাতে ইনিংসের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দরকার ৩ রান। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকাতে ব্যর্থ রিয়াদ নামের পাশে ৯৮ রান নিয়ে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ গেল ম্যাচের মতোই দুই ওপেনারের ব্যাটে পায় উড়ন্ত সূচনা। তবে মুহূর্তেই ছন্দপতন। ৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারের সঙ্গে উইকেট হারান তিনে নামা জাকির হাসানও। ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৪ রানে থাকা সৌম্য সরকারের বিদায়ে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে এজ হয়ে বোল্ড সৌম্য। অনেকটা দুর্ভাগ্যই এই ওপেনারের।
পরের ওভারে তানজিদ হাসান তামিমেরও বিদায়। মোহাম্মদ নবী বল হাতে নিয়ে শুরুর ডেলিভারিতেই কভার পয়েন্টে হাশমতউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানান ১৯ রান করা ওপেনার তামিমকে। তিনে নামা জাকির হাসান প্রত্যাবর্তন রাঙাতে ব্যর্থ হন, ৭ বল খেলে করতে পারেন কেবল ৪ রান। স্ট্রাইকে থাকা মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে পড়েন রান আউটের ফাঁদে। বিনা উইকেটে ৫৩ রানে থাকা বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড তখন ৫৮/৩।
ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাকে থাকা তাওহীদ হৃদয় এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দলের হাল ধরতে পারেননি। আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১১ করে রান পাওয়া হৃদয় আজ আউট হয়েছেন কেবল ৭ রানে। এই সিরিজে এ নিয়ে দু'বার রাশিদ খানের কাছে উইকেট দিয়েছেন হৃদয়। ৭২ রানে ৪র্থ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। তবে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে এমনটা আর সম্ভব করতে পারেনি আফগানিস্তান।
শুরুতে বেশ দেখে-শুনে উইকেটে থিতু হন মিরাজ। অপরদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করতে থাকেন তার সহজসুলভ ব্যাটিং। আফগানদের স্পিন ঘূর্ণির সামনে দাঁড়িয়ে ৬৩ বলে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি ছুঁয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজও এরপর পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। তবে তাকে বল খরচ করতে হয় ১০৬টি। ১৫৮ বল মোকাবিলা করে এই জুটি পূর্ণ করে শতরান।
তবে মিরাজের প্রতিরোধ ভেঙে আফগানিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ভাঙে পঞ্চম উইকেট মিরাজ-রিয়াদের ১৪৫ রানের পার্টনারশিপ। ১১৯ বল খেলা মিরাজ ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে রান করেছেন ৬৬। আগের ম্যাচে ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলা জাকের আলি অনিক আজ ফিরে গেছেন দ্রুত। দুই বল খেলা জাকের রান করেছেন ১, কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার প্রথম আউট না দিলেও রিভিউ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সফল হয় আফগানিস্তান।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই শিকার করেন আরও এক উইকেট। ৫ রানে থাকা নাসুম আহমেদকে বোল্ড করে নামের পাশে লেখান ফোর-ফার। যা তার ক্যারিয়ার সেরাও।