ফারুক-ফাহিমের মাঝে ‘লোভ-লালসা’ দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন
ফারুক-ফাহিমের মাঝে ‘লোভ-লালসা’ দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন
ফারুক-ফাহিমের মাঝে ‘লোভ-লালসা’ দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন
দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও এসেছে বিপুল পরিবর্তন। পূর্বের সভাপতি সহ বোর্ডকর্তারা অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। আবার সেই জায়গায় এসেছেন নতুন কেউ। ফারুফ আহমেদের সভাপতিত্বে ছয় মাস না যেতেই সেই নতুন বোর্ডে ভাঙনের সুর বাজছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের দ্বন্দ্ব গণমাধ্যমে এসেছে। এরপর থেকে অনেকেই সভাপতি এবং নতুন বোর্ডের সমালোচনা করছেন। আবার অনেকে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের গণমাধ্যমের কাছে ভেতরের বিষয়গুলো বলাকে ভালো ভাবে দেখছেন না। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
গুঞ্জন আছে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান হতে চান। এই দায়িত্ব তাকে না দেয়ার কারণে যদি তিনি পদত্যাগ করতে চান তাহলে সেটা ইগোর ব্যাপার। এমনটাই বলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
"আবার কালকের একটা ঘটনা দেখলাম ফারুক ভাই-ফাহিম ভাইয়ের দ্বন্দ্ব যে দুজনই ফরমার ক্রিকেটার তাদের কেন ইগোর প্রব্লেম হবে। তারা তো ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্যই আসছেন। তারা যখন আসছেন তখন তো অনেক কমিটমেন্ট আমি দেখছিলাম। বিশেষ করে ফাহিম ভাই তো বলছিলেন, উনি অনেক সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করছেন, দেখছেন। চিন্তা করছেন। তো সেগুলো আমি এখন দেখতেছি না। এখন দেখতেছি লোভ লালসার মতো হয়ে যাচ্ছে যে আমি অপারেশনস না পাইলে আমি কাজ করব না, পদত্যাগ করব। এটা তো লোভ-লালসা। আমার মনে হয় কেন এই লোভ লালসা তাদের মধ্যে আসে। আমার ক্রিকেট অপারেশনস নিতে হবে কেন? আমি যদি অন্য কমিটির চেয়ারম্যান হই, সেখানে সার্ভ করতে পারব না কেন? ……আমার কেন থাকতেই হবে যে না আমি… পাবো। উনি কি ক্রিকেট অপারেশনসের মাস্টার? ওনার আগে তো আকরাম ভাই ক্রিকেট অপারেশনসের মাস্টার। উনি চাইতে পারে। কারণ আকরাম ভাই বাংলাদেশের ফরমার ক্যাপ্টেন এবং অপয়ারেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাহলে উনি কেন বলতেছেন অপারেশনস ছাড়া হবেই না। এটা তো ইগোর ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। ফারুক ভাই-ফাহিম ভাই, আমার মনে হয় ইগোর প্রব্লেম। সত্যি কথা বলতেছি, এটা কী হচ্ছে আই ডোন্ট নো।"
ফারুক-ফাহিম দ্বন্দ্বে ক্রিকেটার হিসাবে লজ্জিত হন সুজন। "যখন তাদের এই মনোভাব দেখি তখন খারাপ লাগে। দুইজন সিনিয়র মানুষ আমরা যাদেরকে অনেক রেসপেক্ট করি, ফারুক ভাই ও ফাহিম ভাই- বোথ আমাদের রেসপেক্টেড মানুষ এবং ক্রিকেটার। তাদেরকে যখন এমন দেখি ক্রিকেটার হিসেবে লজ্জিত হই আসলে আমরা কী ক্রিকেটাররা এতো বেশি লোভী নাকি?"
খালেদ মাহমুদ সুজনের মতে বিষয়টি গণমাধ্যমে বলা উচিৎ হয়নি। "আমার কথাটা যে যে জিনিসটা চার দেয়ালের মাঝে শেষ হতে পারত, সেটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানবে। এরা দুজনই ক্রিকেটার। আমাদের ক্রিকেটারদের মানুষ কী ভাববে, আসলে তো আমরা…… আমাদের তো নিজেদের স্বার্থের জন্য বোর্ডে যাই তাহলে। এই কথাটা ভাবা তো খুবই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সব ক্রিকেটারের জন্য তো এটা খুব লজ্জাজনক ব্যাপার।"
এই দ্বন্দ্বকে বার বার লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে সুজন বলেন, "দুইজনই সিনিয়র মানুষ যেটা করলেন, আমাদের দেশে যত ক্রিকেটার আছে ন্যাশন্যাল টিমে বা বাইরে- এটা খুবই লজ্জ্বাজনক। তাদের এই ইগো প্রব্লেম বা তাদের এই কাড়াকাড়ি প্রব্লেম চলতেছে যে কে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হবে, কে অপারেশনস হবেন আর কে ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান হবেন। ইটস ভেরি ফ্যানি, লজ্জ্বাজনক আমাদের জন্য।"