তাইজুলের ৫ উইকেটে চট্টগ্রামের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের
- 1
যাকে সরানো হলো ‘অযোগ্য’ বলে, পরামর্শ নিতে হলো ‘অপরিহার্য’ জেনে
- 2
বিসিবি নির্বাচন, ফিক্সিং ইঙ্গিত ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ‘সীমিত হস্তক্ষেপ’: আড়ালের গল্প কী?
- 3
শাস্তি এড়াতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত
- 4
সুপার ফোরে বাংলাদেশ নয়, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকেই এগিয়ে রাখছেন হার্শা
- 5
নিজাকাতের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব, স্পিনেই বাজিমাত করতে চায় হংকং

তাইজুলের ৫ উইকেটে চট্টগ্রামের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের
তাইজুলের ৫ উইকেটে চট্টগ্রামের প্রথম দিনটা বাংলাদেশের
১৭৭/২ থেকে ২১৭/৯। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের শেষটা হয়েছে বাংলাদেশের মনের মতো। প্রথম সেশনে লড়াই ছিল সমানে-সমান। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশকে কোন সুযোগই দেয়নি জিম্বাবুয়ে। আর শেষ বিকেলের সেশনে টাইগার বোলাররা দেখাল রাজত্ব। স্পিন ক্যারিশমা দেখিয়ে তাইজুল ইসলাম দখলে নেন ৫ উইকেট। তাইজুলের ভেলকিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ, তবে আজকেই অলআউট করা গেল না জিম্বাবুয়েকে।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৬১ রান। এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১৭৭ রানে থাকা জিম্বাবুয়ে পরের ৭ উইকেট হারিয়েছে কেবল ৪০ রান যোগ করতেউ। জিম্বাবুয়ে দিন শেষ করেছে চরম হতাশা নিয়ে। ৯০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে তাদের রান ২২৭। ৮৫ ওভারে ২১৭ রানে ৯ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে, দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগের ৫ ওভার কোনমতে কাটিয়ে দেন টাফাডজোয়া সিগা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
ক্র্যাম্পের সঙ্গে লড়াই করে নিক ওয়েলচ প্যাভিলিয়নে ফিরতেই ভেঙে ধ্বংসস্তূপ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ৩১ বলে এক চারে ৫ রান করে নাঈম হাসানের শিকার হন। আবার ব্যাটিংয়ে নেমেই আউট ওয়েলচ। আগের ৫৪ রানের সাথে এবার এক রানও যোগ করতে পারেননি।
আরভিনকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের পরের ওভারে এসে নাঈম শিকার করেন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট ৬৭ রানে থাকা শন উইলিয়ামস। ১৬৬ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করেন উইলিয়ামস। নাঈম হাসানের জোড়া উইকেট শিকারের পরে তাইজুলের ভেলকি চলে সাগরিকায়। নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েসলি মাধেভেরে ১৫ রান করতেই তাইজুলের শিকার।
এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পরের ডেলিভারিতেই রিচার্ড এনগারাভাকে করেন বোল্ড। বল ঠেকিয়ে দিয়ে তাইজুলকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করা ভিনসেন্ট মাসেকেসা অবশ্য হয়েছেন রান আউট। তাইজুলের ৫ উইকেট পূর্ণ হয় নিক ওয়েলচের উইকেট নিয়ে। দুপুরের তীব্র গরমে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া নিক ওয়েলচ আবার ব্যাটিংয়ে এসে ২ বলের বেশি খেলতে পারেননি।
দিনের শেষ সেশনে ৩৪ ওভারে ৬৬ রান করতে জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে ৭ উইকেট। ক্রিজে টাফাডজোয়া সিগার সঙ্গী ব্লেসিং মুজারাবানি।