শান্তর ৭৬ আর জাকের আলির ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশের রান ২৫২
শান্তর ৭৬ আর জাকের আলির ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশের রান ২৫২
শান্তর ৭৬ আর জাকের আলির ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশের রান ২৫২
দারুণ শুরুর পর বাংলাদেশের আবারও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। টপ অর্ডার রানের দেখা পেলেও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা ডুবিয়েছেন স্কোরবোর্ড। আগের ম্যাচে দুই করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আজ পেয়েছেন ৩ রান। ফের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডে অভিষেক রাঙিয়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিলেন জাকের আলি অনিক। ২৭ বলে ৩৭ রানের ক্যামিও খেলে মাঠ ছাড়েন জাকের।
৪০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে থাকা বাংলাদেশ পরের ওভারেই হারিয়ে বসে সেট শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। জাকের আলি অনিক ও নাসুম আহমেদের জুটি থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪৬ রান। আর তাতেই দুইশো ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করেছে ২৫২।
প্রথম ওয়ানডেতে হারের কারণে বাংলাদেশ দলের সামনে এবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। ইনজুরির কারণে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহমি ছিটকে যাওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেলেন জাকের আলি অনিক। টি-টোয়েন্টি, টেস্টের পর এবার ওয়ানডেতেও জাকের আলির স্বপ্নের অভিষেক।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে বাংলাদেশের দারুণ শুরু। তবে আগের ম্যাচে ৬ উইকেট পাওয়া আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার তামিমের ব্যাটে ঝড় বেশিক্ষণ থাকতে দেননি, মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে দলকে এনে দেন ব্রেকথ্রু।
১৭ বলের ইনিংসে তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত তখন জুটি গড়েন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের সাথে। পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫৯। এই জুটি অবশ্য ভাঙে দলীয় ৯৯ রানে। রাশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন সৌম্য। তবে রিভিউ চ্যালেঞ্জ নিলে বেঁচে যেতেন নিশ্চিত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে। যা নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা শান্তও ঠিক বুঝতে পারলেন না।
আগের ম্যাচের মতোই শান্ত প্রথমে সৌম্য, এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ টেনে নিয়ে যান। ৭৫ বলে শান্ত পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। অপরদিকে বাউন্ডারির আশায় ধুঁকতে থাকা মিরাজ রাশিদ খানের গুগলিতে হলেন পরাস্ত। বাউন্ডারি বিহীন ২২ রানের ইনিংস খেলে মিরাজ বোল্ড হলে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি।
পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ মিডল অর্ডারের ভরসা তাওহীদ হৃদয়। আগের ম্যাচের সমান ১১ রানে থাকা হৃদয় নাঙ্গিয়াল খারোতিকে স্লগ সুইপে ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করে হয়েছেন ক্যাচ। দলীয় ১৭৪ রানে ৪র্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭১ রানে থাকা অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে জুটি গড়তে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু রিয়াদকে রেখেই বিদায় নেন শান্ত।
নাঙ্গিয়াল খারোতি শিকার করেন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ৭৬ রানে থামে অধিনায়ক শান্তর প্রতিরোধ। ১১৯ বল খেলে এই রান করেছেন ৬ চার ও ১ ছক্কায়। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে মোহাম্মদ নবীর হাতে সহজ ক্যাচ। ৯ বল খেলা অভিজ্ঞ রিয়াদ ৩ রান নিয়ে ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে। মাত্র ৪ বলে নাঙ্গিয়াল খারোতি জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ফেলেন চরম বিপাকে।
শেষদিকে নাসুম আর অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক মিলে দলের সংগ্রহ দুইশো ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।