Image

ক্যাচ মিস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেঃ জাকের

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 7 ঘন্টা আগেআপডেট: 50 মিনিট আগে
ক্যাচ মিস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেঃ জাকের

ক্যাচ মিস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেঃ জাকের

ক্যাচ মিস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেঃ জাকের

দীর্ঘ বিরতির পর এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন ক্রিকেটেও প্রভাব ফেলেছে—ভারতের বাংলাদেশ সফর বাতিলের পর বিকল্প সিরিজ খেলতে হয় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অবশেষে সুপার ফোরে মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশী দেশ।

লিটন দাসের ইনজুরির কারণে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান তরুণ জাকের আলী অনিক। চিরচেনা পরিকল্পনায়  টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ।। তবে ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে জাকেরের দল থেমে যায় মাত্র ১২৭ রানে। রান তাড়ায় ব্যাটারদের ভরাডুবিতে  টাইগাররা ম্যাচ হেরে বসে ৪১ রানে।


শুরুতেই ফিরেন তানজিদ হাসান তামিম (১)। এরপর একে একে ফেরেন তাওহীদ হৃদয় (৭), শামীম হোসাইন (০), জাকের আলী (৪), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৪), রিশাদ হোসেন (২) ও তানজিম হাসান সাকিব (০)। পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। ব্যাটিংয়ের এমন দায়িত্বহীনতায় একসময় মনে হচ্ছিল, উইকেটে এসেছেন কেবল নাম লেখাতে।
বিভ্রান্তি দেখা দেয় ভারতের স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পেছনে মানসিক চাপ না কি কৌশলগত দুর্বলতা, এমন প্রশ্ন ওঠে।


অধিনায়ক জাকের বলেন, “আসলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা মাঠে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। আপনি যদি আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন, মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো খেলেছি। আজকের দিনে আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি, তাই এমনটা হয়েছে।”


ভারতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দেন অভিষেক শর্মা। মাত্র ৩৭ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। ইনিংসের শুরতে তানজিম সাকিবের বলে ব্যক্তিগত মাত্র ৭ রানে অপরাজিত অভিষেকের ক্যাচ ফেলেন জাকের।


এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাকের বলেন,“এটা ছিল রেগুলার ক্যাচ। এই পর্যায়ে এমন ক্যাচ অবশ্যই ধরতে হয়। আমি আমার সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধরতে পারিনি। চাইলে বলতে পারেন, এটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।”


অভিষেক ও শুভমান গিলের ৭৭ রানের জুটি ভারতের ইনিংসকে সলিড ভিত্তি দেয়। ১০ ওভার শেষে মনে হচ্ছিল, স্কোর ২০০ ছুঁয়ে ফেলবে। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। অভিষেক রান আউট হন রিশাদ ও মুস্তাফিজের যুগল প্রয়াসে। এরপর মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদবকে।


টাইম আউটে দল কী পরিকল্পনা করেছিল, জানতে চাইলে জাকের বলেন, “পাওয়ার প্লেতে ব্যাটারদের সুবিধা থাকে। আমরা প্যানিক হয়নি। পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক থেকে বল করা। সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলেই ম্যাচে ফিরে আসতে পেরেছি।”


শেষ দিকে বোলাররা ভালোই চাপ সৃষ্টি করেন। তানজিম সাকিব অভিষেক-গিল জুটিকে আটকে রাখেন, তিলক ভার্মাকে আউট করেন বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ারে। নাসুম আহমেদ প্রথম দুই ওভারে ২৮ রান দিয়ে শেষ দুই ওভারে দেন মাত্র ৬ রান।


এই ইতিবাচক দিকগুলো আগামী ম্যাচে কাজে লাগানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে জাকের বলেন, “এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেটা কাজে লাগিয়ে আগামীকাল আরও ভালো কিছু করা সম্ভব।”


জাকের জানান, লিটন ইনজুরিতে পড়ার আগেই তিনি প্রস্তুত ছিলেন অধিনায়কত্বের সম্ভাবনায়।
“আমাকে দেশেই জানানো হয়েছিল যে, এরকম পরিস্থিতি এলে নেতৃত্ব দিতে হতে পারে। হয়তো মিডিয়ায় বলা হয়নি, তবে আমি জানতাম।”


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনে ভারতের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। লিটনের জায়গায় ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলেন সাইফউদ্দিন ও তানজিম সাকিব। অন্যদিকে রিশাদ হোসেন খেলেন শেখ মাহেদী হাসানের জায়গায়। এই পরিবর্তনের কারণ কি কৌশলগত, না বিশ্রামের জন্য?


জাকের বলেন, “একাদশে পরিবর্তন করা হয়েছে দলীয় কম্বিনেশন ও বিশ্রামের কথা মাথায় রেখে। দুই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।”
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three