টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েই দিলেন শান্ত, যে কারণে এমন সিদ্ধান্ত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে গুঞ্জন উঠেছিলো টেস্ট ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।  শেষ পর্যন্ত কলম্বো টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর আর গুঞ্জনকে গুজব রাখলেন না তিনি। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন শান্ত।

শনিবার ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, "আমার একটা ঘোষণা ছিল আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না।"

এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়, দলের বৃহত্তর স্বার্থেই নেওয়া বললেন শান্ত। "আমি একটা জিনিস সবাইকে ক্লিয়ারলি মেসেজটা দিতে চাই যে, এটা কোনো পারসোনাল (ব্যক্তিগত) কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া এবং এটাতে দলের ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি। আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিন অধিনায়ক একটু ডিফিকাল্ট হতে পারে। পুরোটা দলের ভালোর জন্য আমি এখান থেকে সরে এসেছি।"

তিনি জানান, আগেই সিদ্ধান্তটি বিসিবির কাছে জমা দিয়েছেন। বেশ কয়েকদিন আগেই এই সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানিয়েছেন। গত কয়েক মাসেই একে একে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বই হারালেন শান্ত। টি-টোয়েন্টিতে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নিজেই, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। ওয়ানডেতে বোর্ডের সিদ্ধান্তে মেহেদি হাসান মিরাজকে তুলে দেওয়া হয় নতুন অধিনায়ক হিসেবে। সর্বশেষ এবার টেস্টেও দায়িত্ব ছাড়লেন শান্ত নিজেই।

এদিকে ওয়ানডে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে বোর্ডের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাঁর ভাষায়, "শান্তর অধিনায়কত্ব (ওয়ানডে) কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি শান্ত নিজেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।"

নেতৃত্বের বোঝা নামিয়ে রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এখন তার সামনে একটাই লক্ষ্য ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করা। নেতৃত্বের চাপ ঝেড়ে ব্যাটসম্যান শান্ত আবার পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।