শেষদিনে ৩৫০ রান নিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে ভারতকে হারালো ইংল্যান্ড

শেষদিনে ৩৫০ রান নিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে ভারতকে হারালো ইংল্যান্ড
শেষদিনে ৩৫০ রান নিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে ভারতকে হারালো ইংল্যান্ড
হেডিংলিতে আবারও রান তাড়া করে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসলো ইংল্যান্ড। ৩৭১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে মাত্র ৮২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিলো স্বাগতিকরা। এই জয়ে তারা অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
জয়ের নায়ক বেন ডাকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে জয় এনে দেন দলকে। শেষটা করেন অভিষিক্ত জেমি স্মিথ, যিনি ছক্কা মেরে ইংল্যান্ডকে পৌঁছে দেন জয়ের গন্তব্যে। হেডিংলিতে এটি ইংল্যান্ডের টানা ষষ্ঠ টেস্ট জয়। সবগুলোতেই তারা আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল।
ভারত পাঁচটি সেঞ্চুরি করেও হেরে গেছে! দুই ইনিংসেই প্রথম সারির দাপুটে ব্যাটিং ম্লান হয়ে গেছে নিচের সারির ধসে। প্রথম ইনিংসে শেষ সাত উইকেট গেছে ৪১ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট ৩১ রানে। সঙ্গে ছয়টি ক্যাচ ফেলা। সব মিলিয়ে জয় দূরে সরে গেছে ভারতের হাত থেকে।
নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের শুরুটা হলো হতাশার। প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানের ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচ শেষে হয়তো সেই ইনিংসই সবচেয়ে নিষ্প্রভ মনে হবে তার। শেষ নয়টি টেস্টের সাতটিতেই হেরেছে ভারত, যার মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ হার।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ইংলিশ ব্যাটিংয়ে ধস নামান জাসপ্রিত বুমরাহ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ছিলেন প্রায় অদৃশ্য। বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রাউলির ১৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে মূলত ম্যাচই ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড।
ডাকেট ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। প্রথমে ধীর গতিতে শুরু করলেও পরে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রবীন্দ্র জাদেজাকে বারবার রিভার্স সুইপে কাবু করেন, প্রসিধ কৃষ্ণর বলেও রানের ফোয়ারা ছুটে। যদিও ৯৭ রানে থাকা অবস্থায় একটা ক্যাচ দিয়েছিলেন, যা ফেলেন যশস্বী জয়সাল। এটি ম্যাচে তার তৃতীয় ক্যাচ মিস।
প্রসিধই পরে কিছুটা লড়াই ফেরান। ক্রাউলিকে স্লিপে ক্যাচ করিয়ে ও পোপকে বোল্ড করে। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ দিকে জো রুট (৫৩*) ও স্মিথ মিলে সহজেই জয় নিশ্চিত করেন।