বিপিএলে দুর্নীতি নিয়ে টেলিগ্রাফে যত অভিযোগ
- 1
বাংলাদেশের কাছে টানা ১১ ওয়ানডে হারের পর জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- 2
ইংল্যান্ডের টম ও স্যাম কারেনের ভাই বেন কারেন জায়গা পেলেন জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে
- 3
ইকবাল হোসেন ইমন একাই হলেন ফাইনাল ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়
- 4
দলের প্রয়োজনেই মিরাজ করেছেন স্লো ব্যাটিং
- 5
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল তিন টেস্টের সিরিজ হওয়া উচিত?
বিপিএলে দুর্নীতি নিয়ে টেলিগ্রাফে যত অভিযোগ
বিপিএলে দুর্নীতি নিয়ে টেলিগ্রাফে যত অভিযোগ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ দুই আসরে ৩০টির বেশি দুর্নীতির অভিযোগ খুঁজে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তি করা খেলোয়াড় আরও বেশি অর্থ নিয়ে পরবর্তিতে অন্য দলের হয়ে খেলেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা টাকা না দিলে পরের দিন ম্যাচ না খেলার হুমকিও দিয়েছে; এমন সব অভিযোগ টেলিগ্রাফের সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
দ্য টেলিগ্রাফ গত ৩০ অক্টোবর প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশজুড়ে বর্তমানে চলতে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন; 'স্পেশাল রিপোর্ট: ক্রিকেট যেভাবে নিজেই খেয়ে ফেলল'। এখানে বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল বাংলাদেশের বিপিএল নিয়ে নানা অজানা তথ্য।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বিপিএলের যে কথা উঠে এসেছে-
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দুর্নীতি বিরোধী কভার প্রদানের জন্য আইসিসিকে টুর্নামেন্টে যুক্ত করে না; পরিবর্তে - অন্যান্য অনেক লিগের মতো তারা সস্তায় নিজেরাই সে কাজ করে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আইসিসির সহায়তা না নেওয়ার ফলে বিপিএলের দুর্নীতিবিরোধী স্বচ্ছতা নিয়ে ধোঁয়াশা আরও গাঢ় হয়।
গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, তবে কোনটিতেই কারো নিষেধাজ্ঞা হয়নি। এমনকি যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, এর আগে তাদের প্রায়ই বছরের পর বছর খেলা চালিয়ে যান।
সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘অভিযোগ জানাতে অনেক খেলোয়াড়ই ভয় পান। প্রথম কারণ, তাঁদের পারিশ্রমিক না–ও দেওয়া হতে পারে, দ্বিতীয় কারণ তাঁরা নিজেদের অনিরাপদ বোধ করতে পারেন। তাঁরা তখনই জানান, যখন সরাসরি অ্যাপ্রোচ করা হয়। কিন্তু শুধু সন্দেহের ওপর খুব কমই বলেন।’
এই মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এক পক্ষের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, তারপর তারা তাদের চুক্তি থেকে সরে এসেছেন এবং অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা টাকা না দিলে পরের দিন ম্যাচ না খেলার হুমকিও দিয়েছে বলে জানা গেছে।