অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ স্থগিত নিয়ে মুখ খুললেন রাশিদ খান
অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ স্থগিত নিয়ে মুখ খুললেন রাশিদ খান
অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ স্থগিত নিয়ে মুখ খুললেন রাশিদ খান
রাশিদ খান বেশ কষ্ট পেয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নেওয়া সিদ্ধান্তে। কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া বোর্ড। এ বছরের আগস্টে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের মধ্যে। সম্প্রতি ক্রিকেট-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো’তে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাশিদ।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলাপে সরকারের অনেকটা সিদ্ধান্তের উপর আফগান সিরিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মূল কারণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া উল্লেখ করে ‘আফগানিস্তানে শিশু ও নারীদের যেসব অধিকার থাকার কথা, তা ব্যহত হচ্ছে’, এর ফলশ্রুতিতে তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
গুজরাট টাইটান্সের হয়ে এখন আইপিএল খেলতে ভারতে অবস্থান করছেন রাশিদ। সেখানে কথা ক্রিকইনফোর সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “এটা আপনাকে আঘাত করবেই।”
“আপনি সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে চাইবেন, এভাবেই আপনার ক্রিকেটের উন্নতি হবে। আপনি শুধুমাত্র বিশ্বকাপে তাদের (অস্ট্রেলিয়া) সাথে খেলার সুযোগ পান, কিন্তু কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নয়।”
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন রাশিদ। বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাওয়া আফগানিস্তানের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। যেখানে গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ২-১ এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে আগগানরা।
“সম্প্রতি আমরা ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছি, এটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমরা প্রায় ২০০ তাড়া করে ফেলছিলাম ভারতের বিপক্ষে। চিন্তা করুন আপনি যদি এরকম খেলার সুযোগ না পান, তবে আত্মবিশ্বাসটা কোথায় থেকে আসবে? বড় দলের বিপক্ষে খেলা আমাদের কাছে বিশাল এক ব্যাপার।”
এর আগেও ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে ওডিআই সিরিজ খেলার কথা থাকলেও, সেটিও না খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সিএ। এবার তৃতীয়বারের মতো একই পথে হাঁটল তারা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন রাশিদ। পরে অবশ্য খেলবেন বলেও সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। কিন্তু চোটের কারণে সেই আসর খেলা হয়নি তার।
আসন্ন বিবিএল নিয়ে আবারও ভাবনায় আছেন রাশিদ। তিনি জানান, “অনেক কিছুই মনে আসছে।’’
“যেমন আপনারা যদি আমার দলের বিপক্ষে খেলতে না চান, তবে আমাকে কেন আপনার দেশে খেলতে দিতে চান? আপনারা আমার সতীর্থদের সাথে খেলতে চান না আর আমার সাথে খেলতে চান? তো পার্থক্যটা কী? এর মানে হচ্ছে আমি আমার সতীর্থদের নিচু করছি। আমার দেশকেও নিচু করছি।”
এই আফগান তারকা আরও যোগ করেন, “তারা যদি আমাদের বিপক্ষে খেলে এবং আমরাও তাদের বিপক্ষে খেলি, এভাবেই আমরা সেখানে খেলতে পারি। এটাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।”