ডেভিড মিলারকে আইসিসির ভর্ৎসনা
ডেভিড মিলারকে আইসিসির ভর্ৎসনা
ডেভিড মিলারকে আইসিসির ভর্ৎসনা
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর সুপার এইটের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচেই আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ১ এর নিয়ম ভঙ্গ করে শাস্তির আওতায় এসেছেন প্রোটিয়া ব্যাটার ডেভিড মিলার।
শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় নিয়ম ভঙ্গ করে আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা পেয়েছেন ডেভিড মিলার। তিনি ভঙ্গ করেছেন আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৮। যেখানে উল্লেখ আছে আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করা যাবে না।
আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনার সাথে ডেভিড মিলারের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে যুক্ত হয়েছে এক ডিমেরিট পয়েন্ট। ২৪ মাস সময়ে এটা মিলারের প্রথম নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা।
ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১৯ তম ওভারের। স্যাম কারেনের একটি ফুলটসকে ডেভিড মিলার নো বল হিসাবে কাউন্ট করতে বলেন। আম্পায়ার সেটিকে নো বল না দিলে মিলার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এবং সেটিতে রিভিউ নেবার ব্যাপার না থাকলেও রিভিউ নেবার সিগন্যাল দেন।
অন ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন, শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, তৃতীয় আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ও চতুর্থ আম্পায়ার ক্রিস গাফফানি অভিযোগ দায়ের করেন। যা আমলে নিয়ে শাস্তি দেন আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো।
মিলার অভিযোগ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
উল্লেখ্য, লেভেল ১ এর নিয়ম ভঙ্গের সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ১ বা ২ ডিমেরিট পয়েন্ট।
২৪ মাস সময়ে যখন একজন ক্রিকেটার ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটা সাসপেনশন পয়েন্ট হয়ে যায় এবং তিনি নিষেধাজ্ঞা পান। ২ সাসপেনশন পয়েন্টে ১ টেস্ট বা ২ ওয়ানডে বা ২ টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হন ক্রিকেটার। ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকে ২৪ মাস সময় পর্যন্ত।