আমরা জানি না কীভাবে ১৮০ রান করতে হয়: শান্ত
- 1
অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশি বোলারদের শিকার ৫ উইকেট
- 2
শুরুর ১৫ মিনিটেই হাসান মাহমুদের দুই উইকেট, এরপর বিবর্ণ বাংলাদেশ
- 3
টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করে তিলক বার্মার বিশ্বরেকর্ড
- 4
ঢাকা লিগে ৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নি'ষিদ্ধ করল বিসিবি
- 5
জমকালো আয়োজনে উন্মোচিত হল এনসিএল টি-টোয়েন্টির লোগো, দেখা যাবে সরাসরি
আমরা জানি না কীভাবে ১৮০ রান করতে হয়: শান্ত
আমরা জানি না কীভাবে ১৮০ রান করতে হয়: শান্ত
টি-টোয়েন্টিতে কীভাবে ১৮০ রান করতে হয়; জানেন না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ব্যাটারদের দুষলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। স্কিল এবং মেন্টালিটি; দুই দিক দিয়েই বেশ পিছিয়ে আছে শান্তর দল। ব্যাটিংয়ে কীভাবে উন্নতি করা যাবে, সেটাও বলেছেন শান্ত। আঙুল তুলেছেন দেশের মাঠের উইকেটের দিকেও।
আধুনিক টি-টোয়েন্টি অনেক গতিময় ও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশ দল যেন আছে ক্রিকেটের সেই পুরোনো দিনগুলোতেই। বড় স্কোর করার বদলে টাইগাররা মনে করে ১৪০ থেকে ১৫০ রান ওদের জন্য নিরাপদ স্কোর। গত দু’বছরে ৪৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টি ম্যাচে ১৮০ রানের বেশি করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’বার করে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচই হারতে হয়েছে।
গতরাতে গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারের দায় ব্যাটারদের উপর চাপিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার মতে, বড় রান করার জন্য কীভাবে খেলতে হবে জানেন না ব্যাটাররা,
'সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য অবশ্যই আছে আমি সেটা বিশ্বাস করি। স্কিলের উন্নতির অনেক জায়গাও আছে। এই উন্নতিটা কীভাবে হবে, গত ১০ বছর ধরে আমরা এভাবেই ব্যাট করছি। মাঝেমধ্যে হয়ত ভালো ব্যাটিং হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমরা হোমে যখন অনুশীলন করি, উইকেটে পরিবর্তন এনে কিছু না কিছু একটা জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। হোমে কিন্তু আমরা ১৪০-১৫০ রানের উইকেট হয়। ব্যাটাররা অইটা জানে কীভাবে করতে হয়, কিন্তু ব্যাটাররা অইটা জানে না কীভাবে ১৮০ রান করা যাবে। অই ধরনের উইকেটে অনুশীলন করতে হয়ত আরও উন্নতি করা যাবে। তবে আমি পুরোপুরি উইকেটকে দোষ দিব না, এখানে মেন্টাল এবং স্কিলেরও অনেক ব্যাপার আছে।'
ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১২৮ রান। ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসন চালিয়ে ৪.৪ ওভারে পঞ্চাশ। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে করে ৭১ রান, যা টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ। ৯.৩ ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে যায় ভারতের স্কোর। শেষ অবদি ভারত ম্যাচ জিতে নেয় ১১.৫ ওভারে।
প্রথম ম্যাচ হারলেও অবশ্য সিরিযে ফিরে আসার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। ৯ অক্টোবর, বুধবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু’দল। সিরিজ বাঁচাতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। নইলে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ হারের লজ্জায় পড়তে হবে শান্ত-মিরাজদের।