মুমিনুলের ফিফটি, ভরসা হয়ে আছেন তাইজুল
মুমিনুলের ফিফটি, ভরসা হয়ে আছেন তাইজুল
মুমিনুলের ফিফটি, ভরসা হয়ে আছেন তাইজুল
মাত্র ৬ ওভার বল করতেই কাগিসো রাবাদার পাঁচ উইকেট। ৩৮/৪ স্কোর নিয়ে আজ খেলা শুরু করা বাংলাদেশ সকালের ৬ ওভারের মধ্যে হারায় আরও ৪ উইকেট। ৪৮ রান করতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে করতে হবে ৩৭৬ রান।
তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩৭ রান। মুমিনুল-তাইজুল জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ৮৯ রান। ফিফটি হাঁকিয়ে মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে, তাকে সঙ্গ দেওয়া তাইজুলের রান ১৮।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫৭৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করলে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেন দিশেহারা। দিনের খেলা সমাপ্ত হওয়ার আগে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ৩৮ রান। এরপর শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ নতুন সকাল শুরু করে।
নতুন সকালেও সেই পুরানো বিপর্যয়। ৪ উইকেটে ৪৬ রানে থাকা বাংলাদেশ ৪৮ রানে পৌঁছাতেই উইকেটসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮'এ। আগের দিন ৪ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজ ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ মিনিটও টিকলেন না। কাগিসো রাবাদা অবশ্য শান্তকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি, পরের ওভারে এসে শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও।
বাংলাদেশ সফরে এসে কাগিসো রাবাদা রীতিমতো উড়ছেন। ঢাকায় দুই ইনিংস মিলিয়ে পান ৯ উইকেট। চট্টগ্রামে এসে শুনলেন সুখবর, হলেন টেস্টের নাম্বার ওয়ান বোলার। পরদিনই আবার রাবাদার ফাইফার, তাও আবার মাত্র ৫.৩ ওভারে। আগের দিন তুলে নেন সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানের উইকেট। আজ সকালের শুরুতেই শান্ত, মিরাজ, অঙ্কনকে ফিরিয়ে রাবাদা পেয়েছেন ব্যাক টু ব্যাক ফাইফারের স্বাদ। ২০০৩ সালে একই ভেন্যুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পল অ্যাডামসের পর এশিয়াতে টানা পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার রাবাদা।
ব্যক্তিগত ৯ রানে শান্ত ফিরলে মুশফিকুর রহিম এসে হন ডাক। ১ রানের বেশি করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেক ইনিংসে কেবল দুই বল খেলার সুযোগ পান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তাকে শূন্য হাতে বিদায় করে রাবাদা পূর্ণ করেন ফাইফার। একমাত্র ভরসা হয়ে ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক। সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।