ইমরুল কায়েসের শেষ টেস্ট: ক্যারিয়ারের শেষ মুহূর্তে অভিব্যক্তি
ইমরুল কায়েসের শেষ টেস্ট: ক্যারিয়ারের শেষ মুহূর্তে অভিব্যক্তি
ইমরুল কায়েসের শেষ টেস্ট: ক্যারিয়ারের শেষ মুহূর্তে অভিব্যক্তি
টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ টা জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। তার শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খুলনা বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর মিরপুরে সংবাদসম্মেলনে নিজের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন, "২০০৬ সালে যখন আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, আমি চিন্তা করিনি যে বাংলাদেশ দলের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারব। আর সব শেষে এখন যেভাবে বিদায় নিলাম, আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ এক টেস্ট হোক পঞ্চাশ টেস্ট বা একশ টেস্ট খেলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাই বড়। প্রায় ১০-১২ বছর দলের সঙ্গে থেকেছি, খেলেছি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন দেশে। এটা আমার জন্য অনেক গর্বের ছিল। আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিং করে হোক বা কিপিং করে হোক, দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে। আমার হয়তো আরও ভালো টেস্ট ক্যারিয়ার হতে পারত। তবে যেটা হয়নি সেটা নিয়ে এখন আর আফসোস মনে করি না। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্। কোন মুহূর্তের অংশ হতে পেরে ভাগ্যবান মনে হয় (তিন সংস্করণ মিলিয়ে)"
টেস্ট এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন। তবে এখনও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেননি ইমরুল কায়েস। ফিটনেস ঠিক রেখপ ঘরোয়া এবং ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে টুর্নামেন্ট কিংবা লিগে আরও কয়েক বছর খেলে যেতে চান তিনি।
"টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলার মতো যে ফিটনেস লাগে, আমি যদি কাজ করতে থাকি, তাহলে হয়তো খেলতে পারব কয়েকটা বছর। কিন্তু চার দিনের ম্যাচ খেলতে যে স্ট্রেংথ, যে মানসিকতা লাগে... আমার মনে হয়েছে, এখন তরুণদের সঙ্গে না পারি, তাহলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। একটা ছেলে যেভাবে বলের পেছনে দৌড়ায়, আমি তো তার সঙ্গে পারছি না। তাই মনে হয়েছে, আমি সঠিক পথে নাই। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এক দিনে শেষ হয়ে যাবে। আপনি ফুল এনার্জি দিতে পারবেন। যেটা চার দিনের ম্যাচে কঠিন। ওদিক থেকে আমি চিন্তা করলাম।"
ইমরুল কায়েসের চোখে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। "এটা তো কঠিন প্রশ্ন... সেরা কোচ, সেরা ক্যাপ্টেন। সেরা ক্যাপ্টেন... সবার সঙ্গেই খেলেছি, মুশফিক থেকে শুরু করে, আশরাফুল ভাই থেকে শুরু করে, লাস্ট খেললাম মাশরাফি ভাইয়ের সময় পর্যন্ত। সবমিলিয়ে আপনি যদি আমাকে বলেন ভালো অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের হয়ে কে করেছে, আমি বলব সাকিব আল হাসান। কারণ ওর সময়ে খেলে আমি আমার ভূমিকাটা বুঝতে পেরেছিলাম। আমার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করত, কী আমার রোল, কীভাবে খেলতে হবে।"
বিসিবি থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকেই সেরা কোচ হিসাবে মানেন ইমরুল। "চান্দিকা হাথুরুসিংহে আমি আবারও বলছি... অবশ্যই ও অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ কোচ। কিন্তু টেকিনক্যাল কোচ হিসেবে তিনি অনেক ভালো কোচ ছিলেন। হয়তো তার অ্যাটিচিউড অনেক সমস্যা ছিল, অনেকের সঙ্গে হতো না। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি উনার কাছ থেকে অনেক শিখেছি। ওদিক থেকে বলব, এ দুজন আমার কাছে ভালো লেগেছে।"