প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল আফগানিস্তান
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল আফগানিস্তান
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল আফগানিস্তান
এই প্রথম কোনো ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বোল্ড আউট করল আফগানিস্তান। এদিনই আফগানিস্তান পেল ঐতিহাসিক জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে তাদের প্রথম জয় নিশ্চিত করেছে। ফারুকি-গজানফরের বোলিং তোপের সামনে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত তারা করতে পারে কেবল ১০৬ রান। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৬ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানিস্তান। ৩ ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। জবাব দিতে নেমে ২৪ ওভার হাতে রেখেই আফগানরা পেয়ে যায় ৬ উইকেটের বড় জয়। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে বল দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম জয়! কেবল ভারত ছাড়া প্রতিটি পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে অন্তত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান।
৩৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিয়ে ফিফটি করে ফিরলেন ভিয়ান মুলডার। ৭ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন দুই অংকের ঘরে পৌঁছানোর আগেই। শেষ পর্যন্ত ৩৩.৩ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এটিই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন ওডিআই স্কোর।
বল হাতে আফগানদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ফজলহক ফারুকি। ৭ ওভার বল করে মাত্র ৩৫ রান খরচায় তিনি দখলে নেন ৪ উইকেট। সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ একশোতে পৌঁছে দেওয়া মুল্ডারের উইকেটও নেন ফারুকি। আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফর ১০ ওভারের কোটায় রান দিয়েছেন কেবল ২০, উইকেট নিয়েছেন ৩টি।
সহজ টার্গেট টপকাতে নেমে শুরুতেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। গুরবাজের পর দ্রুত বিদায় নেন তিনে নামা রহমত শাহও। আরেক ওপেনার রিয়াজ হাসান ৩৫ বল খেলে করেন ১৬ রান। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও সমান ১৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
দলীয় ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে এরপর জয়ের বাকি পথটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন গুলবেদিন নাইব আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ২৪ ওভার আগেই তারা দলকে এনে দিলেন ৬ উইকেটের জয়। ওমরজাই ২৫, গুলবেদিন ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।