বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু করলেন সাইমন টফেল
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 16 ঘন্টা আগেআপডেট: 2 ঘন্টা আগে- 1
অবসরের পরেও মাঠে, প্রশ্নের মুখে মুশফিক-রিয়াদ : প্রশ্নবিদ্ধ ক্রিকেট নীতি ও নৈতিকতা
- 2
নেওয়াজকে বিশ্বসেরা বললেন পাক কোচ, কূটনৈতিক জবাব দিলেন ভারতীয় কোচ
- 3
জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়
- 4
রুটকে ঘিরে হেইডেনের রসিক প্রতিশ্রুতি: সেঞ্চুরি না হলে এমসিজিতে নগ্ন হেঁটে যাবেন!
- 5
ফিল সল্টের ঝড়ো শতকে ইংল্যান্ডের রেকর্ড জয়

বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু করলেন সাইমন টফেল
বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু করলেন সাইমন টফেল
আইসিসির সাবেক এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সাইমন টফেল ঢাকায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স এডুকেশন ইউনিটের সঙ্গে। শনিবার দুপুরে তিনি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুই বছরের চুক্তিপত্রে সই করেন।
বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, রোববার টফেল রাজশাহীতে গিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর বগুড়া ও সিলেটের ভেন্যুতে গিয়ে একইভাবে কাজ করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। দুই সপ্তাহের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে টফেল ইতোমধ্যে বোর্ড সভাপতি ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দিনের পরের অংশে সংবাদমাধ্যমকে টফেল বলেন, ‘আমি এখানে সহায়তা করতে এসেছি। এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে আম্পায়ার ও রেফারিরা নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে পারবেন। নিজেদের উন্নত করতে পারবেন। বড় মঞ্চে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মানও আরও উঁচুতে তুলতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেন বুঝতে পারে, সেরাদের কাতারে পৌঁছানো তাদের পক্ষেও সম্ভব।’
বাংলাদেশে আসার অনুভূতি নিয়ে টফেলের মন্তব্য, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা ম্যাচ পরিচালনা ও আম্পায়ারিং সিস্টেমের উন্নয়নে অসাধারণ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও সাহস দেখিয়েছে। আগামী কয়েক বছরের জন্য এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারা আমার জন্য সম্মানের।’
শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের নাম টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ থেকে নতুন এক যাত্রা শুরু করছি। আমি বলছি না যে বাংলাদেশ থেকে আরেকজন এলিট প্যানেল আম্পায়ার আসতে ১০ বছর লাগবে। তবে এটা নিশ্চিত, এমন লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি জরুরি। অধ্যবসায়, নিবেদন ও দৃঢ়তার জন্য যথেষ্ট কৃতিত্ব প্রাপ্য সৈকতের। তিনি শুধু এমিরেটস আম্পায়ার প্যানেলে থাকার কারণে রোল মডেল নন, তিনি সংকল্প ও অধ্যবসায়েরও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
এ প্রসঙ্গে ভারতের উদাহরণও টানেন টফেল। তিনি বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় কোনো এলিট প্যানেল আম্পায়ার ছিল না। পরে এস রবি উঠে আসেন, তারপর নিতিন মেনন। এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া কোনো রাতারাতি সাফল্য নয়, লাগে অন্তত ১০ বছরের ধৈর্য, অনুশীলন আর সিস্টেমের সমর্থন। এটা এক দীর্ঘ যাত্রা। আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো পুরুষ ও নারী আম্পায়ারদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করা, একই সঙ্গে রেফারিদের জন্যও। সৈকত সেই যাত্রার এক জীবন্ত প্রমাণ। আমি আশা করি, তিনি শেষজন হবেন না।’