Image

জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 1 দিন আগেআপডেট: 1 ঘন্টা আগে
জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

জাকেরের কণ্ঠে আত্মসমালোচনা, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৮৬ রানের জুটিতেই সম্মানজনক সংগ্রহে পৌঁছায় দল। কিন্তু সেই রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যথেষ্ট ছিল না। তাড়া করতে নেমে লঙ্কানরা ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২ বল হাতে রেখেই তুলে নেয় ৬ উইকেটের সহজ জয়।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কথা বলেন জাকের আলী অনিক। স্পষ্টভাবেই স্বীকার করেন, শুরুতেই ব্যাটিং ধসের ধাক্কা আর সামাল দেওয়া যায়নি।

ম্যাচের কঠিন বাস্তবতা প্রসঙ্গে জাকের বলেন,"পাওয়ার প্লেতে আমরা দুইটা উইকেট হারিয়ে ফেলি, ওই সময়েই ম্যাচটা কঠিন হয়ে যায়। চেষ্টা করেছি ঘুরে দাঁড়াতে। আমি আর পাটোয়ারী যতটুকু পারি করেছি। তবে হাতে উইকেট থাকলে আরও ঝুঁকি নেওয়া যেত।”

৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও জাকের ও শামীম সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত ১৩৯ রানের পুঁজি তেমন লড়াইয়ের সুযোগ দেয়নি। ব্যাটিংয়ে বড় পার্টনারশিপ গড়া ছাড়া, বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো ছিল। অনিক নিজেও বলেন, ব্যক্তি হিসেবে কেউ ভালো করলেও, ইউনিট হিসেবে ব্যর্থ হলে জয় সম্ভব নয়।

জাকের বলেন,"আমি ভালো খেলেছি, পাটোয়ারীও ভালো খেলেছে, তাই বলে দল ভালো খেলেছে সেটা না। জিততে হলে সবার একসাথে ভালো করতে হবে।"

গরম আবহাওয়ার পাশাপাশি মাঠের একপাশে বাতাস ছিল তুলনামূলক বেশি। মাঠের কন্ডিশন নিয়ে জাকেরের ব্যাখ্যা, “বাতাসের বিষয়টা মাথায় রাখতে হয়। দুই পাশে মারা যায় না। এক পাশে খেলতে হয়। অনেক সিঙ্গেলস নিতে গেলে ক্লান্তি আসে। তারপরও চেষ্টা করেছি। শ্রীলঙ্কা ভালো বোলিং করেছে।”

এদিন বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। তাঁকে বাইরে রাখা প্রসঙ্গে জাকের বলেন, “মাঠের সিদ্ধান্ত মাঠেই নেওয়া হয়েছে।” ব্যাটিংয়ে পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল কি না? এমন প্রশ্নে অনিক জানান, “প্রস্তুতির অভাব ছিল না, কিন্তু প্রয়োগে সমস্যা হয়েছে।’’

টপ অর্ডারের ধারাবাহিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ইমন বা তামিম কেউই ধারাবাহিক নন। অনিক মনে করেন, ওপেনিং ও নাম্বার তিন পজিশনে দায়িত্বশীলতা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তরুণ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, “সব বলে চার-ছক্কা মারার দরকার নেই। ড্রপ অ্যান্ড রান, স্মার্ট ব্যাটিং করতে হবে। আমি নিশ্চিত, তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাববে।”

পরবর্তী ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। হারের পরও দল আত্মবিশ্বাস হারাতে রাজি নয়। অনিক বলেন, “জয়ের আশা ছাড়া তো আর প্রশ্নই আসে না। আমরা খেলছি জেতার জন্য। একটা ম্যাচ হারলেই আশাভঙ্গ করে বসে থাকলে হবে না।”
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three