শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই উন্নতির জায়গায় কাজ করতে চান ফিল সিমন্স

পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে হতাশার কথা গোপন করেননি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তবে পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন তিনি।

সিমন্স বলেন, "যেকোনো সিরিজ হারাই হতাশার। তবে এই দলটা এখনো গঠনের মধ্যে আছে, অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। তাই হতাশা থাকলেও সেটা অতটা গভীর নয় যতটা সেটেলড একটা দল নিয়ে হারলে হতো।"

সিরিজে পেস আক্রমণে দুর্বলতা স্পষ্ট ছিল। ফিল সিমন্স স্বীকার করলেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদদের অনুপস্থিতি বেশ ভুগিয়েছে দলকে। বিশেষ করে শরিফুল ইসলামের ইনজুরিও পরিস্থিতি কঠিন করে তোলে।

"আমার মনে হয় যেকোনো দলই মুস্তাফিজকে মিস করবে। তার স্কিল এমন উইকেটে, তাকে তো মিস করতেই হবে। নাহিদ কিছুটা তরুণ। মাত্রই এসেছে টি-টোয়েন্টিতে, অত অভিজ্ঞ নয়। তবে ফিজ, তাসকিনদের অবশ্যই মিস করবেন। দ্বিতীয় ম্যাচে মেইন বোলারদের একজন শরিফুলও চোটে পড়লো। ফলে কঠিন ছিল।"

সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লাল বলের সিরিজের আগে দ্রুত উন্নতির প্রয়োজন মনে করছেন সিমন্স। তিনি বলেন, " সাদা বলের সিরিজের আগে দুইটি টেস্ট ম্যাচ আছে। এসব নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নতি লাগবে। আজকে ব্যাটিংটা ঠিক জায়গায় ফিরে এসেছে, যেখানে আমরা চেয়েছিলাম। ফলে সবকিছু হচ্ছে একসাথেই।"

এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডার বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে শামীম পাটোয়ারীর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কোচ বলছেন, এক সিরিজ দিয়ে কাউকে বিচার করা উচিত নয়। সাইম আইয়ুবের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "সে ফর্মে ছিল না, এখন ফিরেছে। বাকিদের ক্ষেত্রেও সময় দিতে হবে।"

হোয়াইট ওয়াশ হলেও একমাত্র আশার আলো ওপেনিং জুটি। তানজিদ তামিম ৩ ম্যাচেই ছিলেন ছন্দে। শেষ ম্যাচে পারভেজ ইমন ও ভালো করেছেন। সিমন্স বলেন, "সবচেয়ে বড় ইতিবাচক হচ্ছে ওপেনিং জুটিটা কাজে দিচ্ছে। আজকে আমরা দেখেছি কতটা ধ্বংসাত্মক তারা হতে পারে যখন একসাথে ভালো করবে। আমরা চেষ্টা করব পেসাররা যেন তাদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারে এমন উইকেটে। আমরা বাংলাদেশে সাধারণত এমন উইকেট পাই না। ফলে এমন উইকেটে যখন খেলি, ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে। ফলে এসব জায়গায় আমাদের সঠিকভাবে কাজটা করতে জানতে হবে আমাদের।"